অন্ধ্রে আম ছালা সব গেল নাইডুর

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

অন্ধ্রপ্রদেশে আম-ছাল দুটোই হারিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। লোকভা ও বিধানসভা- দুটোতেই ধরাশায়ী হয়েছে তার দল তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)।

বিপুল ম্যানডেট নিয়ে ক্ষমতা দখলের পথে জগনমোহন রেড্ডির ওয়াইএসআরসিপি কংগ্রেস। ২০১৪ সালে অন্ধ্র থেকে তেলেঙ্গানা বের হয়ে যাওয়ার পর থেকে রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় ছিলেন নাইডু। 

এবার লোকসভায় একটি মাত্র আসন জিতেছে তার দল। অন্যদিকে বিধানসভায় আসন সংখ্যা কমে ২৬-এ নেমে আসছে। সেই সঙ্গে কংগ্রেস এখনও খাতাই খুলতে পারেনি।

পবন কল্যাণের দল জনসেনা পার্টি বা জেএসপি এগিয়ে আছে মাত্র একটি আসনে। জেএসপির সঙ্গে জোটে আছে বিএসপি এবং বামফ্রন্ট। গত ১১ এপ্রিল লোকসভা ভোটের সঙ্গেই ১৭৫টি আসনের বিধানসভার ভোটও হয়েছিল এ রাজ্যে।

মাত্র ৪৬ বছর বয়সী জগনমোহন রেড্ডি রাজ্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডির ছেলে। ২০০৯ সালে বাবার মৃত্যুর পর বাবার সমর্থকদের নিয়ে ২০১১ সালে নতুন দল গড়েন তিনি।

এরপর অন্ধ্রপ্রদেশের ‘বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা’ নিয়ে আন্দোলনে নামেন তিনি। সেই আন্দোলনের সুবাদেই এবার লোকসভার নির্বাচনে ব্যাপক জনসমর্থন আদায় করে নেন রেড্ডি। রেড্ডির চাচা ও দলের সিনিয়র নেতা ওয়াইভি সুবা রেড্ডি বলছেন, ‘নির্বাচনে জয়ের পুরো কৃতিত্বই জগনের। এবার নির্বাচন উপলক্ষে ৩ হাজার ৬৩৮ কিলোমিটার পদযাত্রা করেছে সে। কথা বলেছে অন্তত এক কোটি মানুষের সঙ্গে।’

বৃহস্পতিবার ভোট গণনা যতই এগিয়েছে ততই পরিষ্কার হতে শুরু করে তার জনপ্রিয়তার ছবিটা। মোট ১৭৫ আসনের বিধানসভায় ১৪২ আসনে এগিয়ে রয়েছে জগনমোহন রেড্ডির দল। টিডিপি এগিয়ে মাত্র ২৭টি আসনে।

ম্যাজিক ফিগার ৮৮। রাজ্যের ২৫টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২৪টিতেই এগিয়ে রয়েছেন জগন। গত বছর বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের ওপর থেকে হাত তুলে নিয়ে বিরোধী জোটকে ঐক্যবদ্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন চন্দ্রবাবু। কিন্তু পরাজয় মেনে নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই রাজ্যপালের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র দিয়েছেন তিনি। আগামী ৩০ তারিখ অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন জগনমোহন রেড্ডি।