সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
ভারতের আসাম রাজ্যে চূড়ান্ত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) প্রকাশের পর থেকে বিতর্ক যেন বিজেপি সরকারের পিছু ছাড়ছে না। এনআরসি ইস্যুতে বিরোধীদের কড়া আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে মোদি সরকারকে। বিতর্ক এড়াতে কড়া পদক্ষেপ নিল ভারত সরকার। এবার আসামকে ‘প্রোটেক্টেড এরিয়া’ ক্যাটেগরির আওতায় আনল মোদি সরকার।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।
এর ফলে জম্মু ও কাশ্মীরের পর দেশের দ্বিতীয় বড় রাজ্য হিসেবে প্রোটেক্টেড এরিয়া ক্যাটেগরিতে আসলো আসাম।
উত্তর-পূর্বের কয়েকটি রাজ্য এই ক্যাটেগরির আওতায় থাকলেও আসামের মতো সেখানে এত কড়াকড়ি করা হয় না।
প্রোটেক্টেড এরিয়া ক্যাটেগরির আওতায় থাকা এলাকায় সংবাদমাধ্যমের বিচরণে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। বিদেশ থেকে আসা কোনো সাংবাদিক বিনা অনুমতিতে এই এলাকায় প্রবেশ করতে পারে না। যেসব বিদেশি সাংবাদিক ইতোমধ্যেই আসামে রয়েছেন তাদের বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, এনআরসির তালিকা প্রকাশের পর থেকেই আসামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিক্ষোভ রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসনও। গোটা আসামে বিপুল নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, এনআরসির প্রতিবাদে আসামে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে একাধিক ছাত্র সংগঠন ও রাজনৈতিক দল। নেতৃত্বে রয়েছে অল আসাম স্টুডেন্ট ইউনিয়ন।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা অনুযায়ী গত ৩১ আগস্ট আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হয়। ওই তালিকায় নাম বাদ পড়েছে ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জনের।
ভারত সরকার অবশ্য আগেই বলেছে, যাদের নাম চূড়ান্ত নাগরিক তালিকায় স্থান পায়নি সমস্ত আইনি পদক্ষেপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের এখনই বিদেশি ঘোষণা করা যাবে না। এনআরসির বাইরে থাকা প্রতিটি ব্যক্তি বিদেশি ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারেন। আবেদন করার সময়সীমা ৬০ থেকে বাড়িয়ে ১২০ দিন করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, যাদের নাম তালিকা থেকে বাদ গেছে তাদের পক্ষে যুক্তি শোনার জন্য পর্যায়ক্রমে কমপক্ষে ১ হাজার ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। এর মধ্যে ১০০টি ট্রাইব্যুনাল ইতোমধ্যেই খুলে দেওয়া হয়েছে এবং আরও ২০০টি আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই স্থাপন করা হবে। ট্রাইব্যুনালে কেউ মামলা হারলেও তারা উচ্চ আদালত এবং তারপরে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করতে পারবেন।