নারী ফুটবল দল

অধিনায়ক সাবিনা : নিপুন পায়ের কারসাজিতে তিনি ‘গোলমেশিন’

নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাবিনা। পুরনো ছবি


 

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

সাবিনা খাতুন। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের এ গোলমেশিন দক্ষতার সঙ্গে সামলে চলছেন অধিনায়কের দায়িত্বও। সেই সঙ্গে মাঠে থাকলে তার পা থেকে আসবে গোল এমন নিশ্চয়তাও মিলছে। সেটি হোক না কোনো ক্লাব বা আন্তর্জাতিক আসর।

চলতি সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ খেলেছে চার ম্যাচ। তাতে সাবিনার হ্যাটট্রিকই রয়েছে দুটি, গোল আটটি। বাংলাদেশ জায়গা করে নিয়েছে আসরের ফাইনালে, সেই সঙ্গে সাবিনার নামটিও রয়েছে গোলদাতাদের শীর্ষে। তার অর্জনে যোগ হয়েছে অনন্য এক সাফল্য। ২০০৯ সালে জাতীয় দলে অভিষেকের পর তিনি খেলেছেন ৪৬ ম্যাচ, গোল করেছেন ৩৪টি।

ক্লাব পর্যায়ে সাবিনা আরও বেশি উজ্জ্বল। সেখানে তার অর্জনে রয়েছে কাড়ি কাড়ি গোল। দেশ-বিদেশে ৯টি ক্লাবের হয়ে খেলেছেন দেশসেরা এ স্ট্রাইকার। বর্তমানে খেলছেন লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের হয়ে। গত বছর ধারে খেলে এসেছেন মালদ্বীপ আর্মি এফসির হয়ে। সেখানে পাঁচ ম্যাচে সাবিনার গোল ২১টি।

ক্লাব পর্যায়ে ঘরোয়া আসরে সাবিনা খেলেছেন সাতক্ষীরা জেলা, বাংলাদেশ আনসার, শেখ জামাল, মোহামেডান, বিজেএমসির হয়ে। দেশের বাইরে খেলেছেন মালদ্বীপের দুটি ক্লাবের হয়ে। ভারতের সেতু এফসির হয়েও সাবিনা খেলেছেন, যেখানে সাত ম্যাচে তার গোল ছয়টি।

সব মিলিয়ে ক্লাব পর্যায়ে সাবিনার খেলা ম্যাচের সংখ্যা ৯২। আর সেসব ম্যাচ থেকে সাবিনার অ্যাকাউন্টে জমা ৩১৪ গোল। এর মধ্যে সাবিনার সর্বোচ্চ গোল টিম বিজেএমসির হয়ে, ১২ ম্যাচে ৭৪টি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাতক্ষীরার হয়ে রয়েছে ২১ ম্যাচে ৭০ গোল। ক্লাব ও জাতীয় দল মিলে সাবিনার মোট গোল ৩৪৮। বিস্ময়কর এমন কীর্তিতে দেশসেরা তকমা যোগ হয়েছে সাবিনার নামের সঙ্গে।

নেপালে চলতি সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে এ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৩-০ গোলে হারায় মালদ্বীপকে। সেই ম্যাচে জোড়া গোল করেন সাবিনা। দ্বিতীয় ম্যাচে সাবিনার হ্যাটট্রিকে পাকিস্তানকে ৬-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ। গ্রুপের শেষ ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক জয়ের ম্যাচে অবশ্য সাবিনা পাননি গোলের দেখা। তবে ভুটানের সঙ্গে সেমিতে দেখা মেলে সাবিনা ঝলক। বাংলাদেশ পায় ৮-০ গোলের জয়। সাবিনা দেখা পান আসরের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকের।

ফাইনালের আগে ৮ গোল নিয়ে এ টুর্নামেন্টে সবার ওপরে সাবিনা। চার গোল নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন তিনজন। ভারতের আনজু তামাং, পাকিস্তানের নাদিয়া খান ও বাংলাদেশের সিরাত জাহান স্বপ্না। সূত্র : কালবেলা

এএইচ/এস