অধিনায়কের ব্যাটে লড়াই করছে পাকিস্তান

চরমতম লজ্জার মুখে পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট দল। ইংলিশ পেসার জেমস অ্যান্ডারসনের তোপের মুখে পড়ে হারাচ্ছিল একের পর এক উইকেট। ইংল্যান্ডের করা ৫৮৩ রানের জবাবে না খুব দ্রুত অলআউট হয়ে আবার ব্যাট করতে নামতে হয় এবং নাকি ইনিংস পরাজয় ঘটে- এই শঙ্কায় যখন প্রহর গুনছিল সমর্থকরা, তখন অধিনায়ক আজহার আলির ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান।

২৪ রানে ৩ উইকেট, ৩০ রানে ৪ উইকেট এবং ৭৫ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের তো আর কিছুই থাকার কথা নয়। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে ইংলিশ পেসারদের আগুনে বোলিংয়ের মুখে রুখে দাঁড়িয়েছেন আজহার আলি।

তবে আজহার আলি সঙ্গে পেয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। মূলতঃ এই দু’জনের দৃঢ়তায় ধীরে ধীরে লজ্জা কাটিয়ে উঠছে পাকিস্তান। যদিও এখনও ইংল্যান্ডের চেয়ে অনেক দুরে। তবুও, সফরকারী পাকিস্তানের সম্মান রক্ষার কাজ করছেন আজহার আলিরা।

এ রিপোর্ট লেখার সময় পাকিস্তানের রান ৬৭.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান। ৯০ রান নিয়ে ব্যাট করছেন অধিনায়ক আজহার আলি এবং ৪০ রান নিয়ে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। জেমস অ্যান্ডারসন একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট। ১টি উইকেট নিয়েছেন ডোম বেজ।

এর আগে ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলে তারা ব্যাট করেছে মাত্র ১০.৫ ওভার। ২৪ রান তুলতে হারিয়েছে টপ অর্ডারের ৩ ব্যাটসম্যানকে। ওপেনার শান মাসুদ আউট হয়েছেন ৪ রান করে। আবিদ আলি আউট হন ১ রান করে। বাবর আজম করেন ১১ রান।

৩ উইকেটে ২৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিন ব্যাট করতে নেমেও বিপর্যয় রোধ করতে পারেননি পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। দিনের শুরুতে মাত্র ৬ রান যোগ করতেই বিদায় নেন আসাদ শফিক। তিনি করেন মাত্র ৫ রান।

একে একে প্রতিষ্ঠিত চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে এখন দারুণ বিপর্যয়ে পড়া পাকিস্তানকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন আজহার আলি এবং ফাওয়াদ আলমের জুটি। ১১ বছর পর দলে ফেরা ফাওয়াদের কাছে প্রত্যাশাও ছিল অনেক বেশি। কিন্তু ৭৪ বল মোকাবেলায় ২১ রান করে বিদায় নেন ফাওয়াদ। ডোম বেজের বলে উইকেটরক্ষক বাটলারের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।