অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের প্রতিবাদে ইবিতে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের মিছিল ও সমাবেশ

ইবি প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের অনার্স ১ম বর্ষে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের প্রতিবাদে মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচী পালন করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ছাত্র ইউনিয়নের টেন্ট থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। মিছিলটি ক্যাম্পসের গুরুত্বপূর্ন সড়ক ও অনুষদসমূহ প্রদক্ষিণ করে ডায়না চত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ডিনের সাক্ষর পদ্ধতি, বিভাগের উন্নয়ন ফি, আবাসিক হল ফিসহ আনুষঙ্গিক আরো বিভিন্ন ফি বাড়ানো হয়েছে। ফলে ভর্তির জন্য একজন শিক্ষার্থীকে পূর্বের তুলনায় ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা অতিরিক্ত দিতে হচ্ছে।

সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি সুশান্ত ওঝার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক রাসিব রহমান।

বক্তারা বলেন- শিক্ষা একজন মানুষের মৌলিক ও গনতান্ত্রিক অধিকার, সুতরাং শিক্ষা প্রতিষ্ঠিানগুলোকে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে পরিনত করলে চলবে না। আজকে যারা বড় বড় শিক্ষাবিদ হয়েছেন তাঁদের কাছ থেকে এমনভাবে অর্থ আদায় করলে তাঁরা অনেকেই আজ এত বড় স্থানে আসতে পারতেন না। কিন্তু, আজকে শিক্ষাবীদরা শিক্ষাকে পণ্য ও বিশ্ববিদ্যালয়কে দোকানে পরিনত করেছেন। একজন ডিন তাঁর স্বাক্ষরের জন্য যখোন ২৫০ টাকা নেন, তখন শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা লজ্জাবোধ করি। আজকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ থাকা দরকার, কিন্তু সেখানে শিক্ষার্থীদের হয়রানি করা হচ্ছে।

বক্তারা আরো বলেন, বিভিন্ন বিভাগে এসি হয়েছে বিশ্ব ব্যাংকের টাকায়, অথচ শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে বিভাগের উন্নয়ন ফি নামে টাকা নেওয়া হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু সরকারের সময় মোট বাজেটের মধ্য থেকে শিক্ষা খাতে বাজেট ছিল ২১.৭ শতাংশ, কিন্তু বর্তমানে এ খাতে বাজেট হচ্ছে ৭ থেকে ৮ শতাংশ।

সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন- সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লিটন চন্দ্র রায়, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন সর্দার, অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, সুজন বিপ্লব বিশ্বাস, মিনতি রানী রায়, রেজওয়ান আহমেদ প্রমূখ।

স/শ