সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
এক বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের পূর্বের কিছু মানুষ এমপি-মন্ত্রী হওয়ার জন্য নির্লজ্জের মতো ছোটাছুটি করেছে।
তিনি জানান, বিএনপির রাজনীতির সমর্থক হওয়ায় ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের নিপীড়নের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন। অভিযোগ এনে বলেন, একাধিকবার তাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
ন্যান্সি বলেন, ‘আমি এখনই নির্বাচনে অংশ নিতে চাই না। তবে যে দল আমার ভালো লাগে, আমি তো চাইবই তারা ক্ষমতায় আসুক। তবে সব কিছুর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দেশের জনগণ।
ন্যান্সি আরো বলেন, ‘যারা মানুষের মৃত্যুতে কাঁদেনি কিন্তু স্থাপনা নিয়ে আহাজারি করেছে আশা করব তাদের এবার বোধদয় হবে। আমি চাইব, আমার ওপর যে অন্যায়, অত্যাচার ও নিপীড়ন করা হয়েছে, তাদের যেন সেসব অত্যাচার সইতে না হয়।’
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের হওয়ার আমার বাবা চাকরি শেষে পেনশনের এককালীন টাকা পর্যন্ত আটকে দেওয়া হয়েছিল। আমার বাবা সারা জীবন সততা নিয়ে চাকরি করেছেন, কোনো অভিযোগ ছিল না তার ওপর। তাকেও চাকরি শেষে যন্ত্রণা দেওয়া হয়েছিল।’
নিজের রাজনৈতিক দর্শন জানিয়ে ন্যান্সি বলেন, ‘আমার রাজনীতি করার জন্য যতটুকু জ্ঞান থাকা দরকার আমি মনে করি কোনো রাজনৈতিক টক শোতে গিয়ে কথা বলার মতো যোগ্যতা এখন অর্জন করতে পেরেছি। তবে অবশ্যই আমার রাজনৈতিক মতাদর্শ রয়েছে। যদি কেউ বলে তার মধ্যে রাজনীতির ভাবনা নাই, এটা মিথ্যা কথা। রাজনৈতিক ভাবনা না থাকলে সে নির্বাচনে পছন্দের দলকে ভোট দেয় কিভাবে?
সূত্র: কালের কণ্ঠ