সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য মিশিগানের আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট ভোটাররা বলছেন, আবারও তাঁদের ভোট পেতে কমলা হ্যারিসকে লড়াই করতে হবে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অবস্থানের কারণে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন এই মুসলিম ভোটাররা। চলতি বছরের শুরুতে ডেমোক্র্যাটদের প্রাইমারিতে (দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের ভোট) এই ভোটারদের একটি বড় অংশ ‘আনকমিটেড (প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়)’ ভোট দেয়। অর্থাৎ কোনো পক্ষকে ভোটদানে বিরত থাকে তারা।
মিশিগানের ডিয়ারবর্ন শহরে এক লাখ ১০ হাজার লোকের বসবাস এবং আরব আমেরিকানদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই ব্যাটলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্যে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এই শহর। আরব আমেরিকানরা বলছেন, তাঁরা প্রেসিডেন্টের কথা শুনতে এবং বিকল্প বিবেচনা করতে ইচ্ছুক।
গত বৃহস্পতিবার শিকাগোতে ডেমোক্র্যাটদের জাতীয় সম্মেলনে মনোনয়ন গ্রহণের পর কমলা হ্যারিস গাজায় যুদ্ধবিরতি সম্পন্ন করা এবং ফিলিস্তিনিরা যাতে নিজেদের মর্যাদা, নিরাপত্তা, স্বাধীনতা ও ভাগ্য নির্ধারণের অধিকার উপলব্ধি করতে পারে, তা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দেন।
তবে সম্মেলনে বক্তব্য দিতে চাওয়ার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষোভ রয়েছে ফিলিস্তিনপন্থী ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধিদের মধ্যে। মুসলিম উইমেন ফর হ্যারিস-ওয়ালজ নামের একটি সংগঠন এরই মধ্যে কমলার প্রচারাভিযান থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছে। ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ নিয়ে চুপ না থাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়া কমলা সম্প্রতি আনকমিটেড আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি কোনো জোরালো প্রতিশ্রুতি না দিলেও নেতারা বলছেন, সহমর্মিতা প্রকাশের মাধ্যমে কমলা তাঁদের প্রভাবিত করেছেন।
ঐতিহাসিক ও সামাজিকভাবে রক্ষণশীল আরব আমেরিকানরা ২০০০ সালের নির্বাচনে জর্জ ডাব্লিউ বুশকে সমর্থন দিয়েছিলেন। তবে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের কারণে ডেমোক্র্যাট শিবিরে ঝুঁকে পড়েন তাঁরা।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মুসলিম দেশগুলোতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনে সমর্থন দেওয়ায় আরব আমেরিকানরা ২০২০ সালে বাইডেনকে সমর্থন দেন। এর ফলে সামান্য ব্যবধানে মিশিগানে জয় পান তিনি।
সূত্র: কালের কণ্ঠ