সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :
বিএনপির ফরেইন অ্যাফেয়ার্স কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দলের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা নিয়ে মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল চিফ শ্রেয়ান সি. ফিজারল্ড ও পলিটিক্যাল সেক্রেটারি ম্যাথিউ বে’র সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
তিনি ওই কর্মকর্তাদের হাতে বিএনপির পক্ষ থেকে দেওয়া একটি চিঠি হস্তান্তর করেন।
বিএনপির একটি সূত্র জানায়, দলের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কারাগারে আছেন। আর দলের মহাসচিবও কারাগারে রয়েছেন। যে কারণে কূটনৈতিক সম্পর্কটা এখন দেখভাল করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান ও রুমিন ফারহানা।
এদিকে বাংলাদেশের আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে সংলাপের উদ্যোগসহ নানামুখী ভূমিকায় বেশ আলোচনায় রয়েছে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। কিন্তু বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন মার্কিন দূত। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর হঠাৎ গত বৃহস্পতিবার দেশ ছাড়েন এ মার্কিন কর্মকর্তা।
সেসময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকার মার্কিন দূতাবাস জানায়, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ছুটি নিয়ে বাংলাদেশের বাইরে গেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন এ বিষয়ে বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবগত আছে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য পাবলিকলি জানাবে না। একজন রাষ্ট্রদূত কোথায় গেছেন, কতদিনের জন্য যাচ্ছেন, এটা অফিসিয়ালি জানাতে হয়, পাবলিকলি জানানোর কথা নয়।
এর আগে বিএনপির ২৮ অক্টোবরের সমাবেশে হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে হঠাৎ টালমাটাল হয়ে ওঠে রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এরপর থেমে থেমে চলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হরতাল ও অবরোধ, যা এখনো চলমান। এ অবস্থার মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে তিন প্রধান রাজনৈতিক দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সেখানেও উল্লেখযোগ্য দল বিএনপি। চিঠিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী ডোনাল্ড লুর লেখা।
তবে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানালেও সেখানে কি লেখা ছিল সে বিষয়ে খোলাসা করেননি দলের কোনো নেতা।
এছাড়া নির্বাচন ইস্যুতে বিভিন্ন সময়ে বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন দূতসহ দেশটির একাধিক কর্মকর্তা।
এইচ/আর