শুক্রবার , ২৫ নভেম্বর ২০১৬ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বাগমারায় অস্ত্রের মুখে স্কুলছাত্রী অপহরণ, মেয়রের বাড়ি থেকে উদ্ধার

Paris
নভেম্বর ২৫, ২০১৬ ১০:২৬ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর বাগমারায় বিয়েতে রাজি না হওয়ায় পরিবারের লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এক স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে গেছে যুবলীগের নেতারা। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাহেরপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের নুরপুর মহল্লা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া ওই স্কুলছাত্রীকে মেয়রের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন বাগমারা থানার ওসি সেলিম হোসেন। অপহরণের শিকার ওই স্কুলছাত্রী এবার এসএসসির পরীক্ষার্থী ও জামগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।

 

ওসি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশ জানতে পারে মেয়েটি মেয়র আবুল কালাম আজাদের বাড়িতে রয়েছে। পরে মেয়রের সহযোগিতায় মেয়েটিকে পরিবারের সদস্যদের কাছে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় মামলা করা হলে পুলিশ অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে জানান ওসি।

 

অপহরণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা জানান, তাহেরপুর পৌর সভার ৭নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্প্রতি ওই স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। শুক্রবার বিকেলে বিয়ের বয়স হয়নি বলে তার পরিবারের সদস্যরা বিয়ে দেওয়া যাবে না বলে জানায়।

 

এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে সোহেল রানা ও তার রাজনৈতিক সহকর্মী ওই ওয়ার্ডের সাধারণ সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন যুবক ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়।

 

এসময় তারা কয়েক রাউন্ড গুলির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরিবারের সদস্যদের মারপিট করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর ওই মেয়ের পরিবার যেন থানায় যেতে না পারে সে জন্য বাড়ির আশপাশের এলাকায় যুবলীগের কর্মীরা পাহারা দেয় বলেও তার পরিবারের সদস্যরা জানায়।

 
এ ব্যাপারে মামলা করবেন কিনা জানতে চাইলে ওই স্কুলছাত্রীর বড় ভাই জানান, তারা পুরো পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। যারা অপহরণ করেছে তারা মেয়রের বাড়িতেই ছিল। কিন্তু পুলিশ তাদের ধরেনি। এ অবস্থায় মামলা করা হবে কিনা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানায় ওই ছাত্রীর বড় ভাই।

 
পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র আবুল কালাম আজাদ বলেন, খবর পেয়ে সোহেল ও মিজানের সঙ্গে যোগাযোগ করে মেয়েটিকে তার হেফাজতে নেয়া হয়। পরে পুলিশকে ডেকে নিয়ে এসে মেয়েটিকে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে দেয়া হয় বলে জানান মেয়র।

স/আর

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর