বৃহস্পতিবার , ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

৬ষ্ঠ বারের মতো শ্রেষ্ঠ হলেন বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ

Paris
ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২ ৯:০৫ অপরাহ্ণ

বাগমারা প্রতিনিধি:

রাজশাহীর বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ রাজশাহী জেলায় ৬ষ্ঠ বারের মতো শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মাসিক কল্যাণ সভায় তিনি জানুয়ারি মাসের শ্রেষ্ঠ ওসির স্বীকৃতি পেয়েছেন।

রাজশাহীর পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন, বিপিএম (বার) এর সভাপতিত্বে সভায় মোস্তাক আহম্মেদ এর হাতে শ্রেষ্ঠ ওসি’র সনদপত্র তুলে দেয়া হয়। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন), ডিএসবি সহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ হেড কোয়াটার্স কর্তৃক অভিন্ন মানদন্ডের ভিত্তিতে তিনি শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি ৬ষ্ঠ বারের মতো শ্রেষ্ঠ ওসির স্বীকৃতি পেয়েছেন। এতো কম সময়ে যেটা অন্য কোন থানায় হয়নি বলে জানা গেছে। মূলত কয়েকটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচন করা হয় এরমধ্যে ওয়ারেন্ট তামিল, মুলতবী মামলা খারিজ, মাদক উদ্ধার অভিযান, বহিরাগত লোকজনের বিষয়ে নজরদারী সহ সার্বিক আইন শৃংখলা রক্ষা।

জানা যায়, মোস্তাক আহম্মেদ ২১ নভেম্বর ২০২০ সালে বাগমারা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্র্তা হিসেবে যোগদান করেন। বাগমারা থানায় যোগদানের পর থেকে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করে। বাল্য বিবাহ, নারী পাচার, মাদক, চোরাচালান, মারামারি, হত্যা, মামলা-মোকদ্দমা সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড কমে যায়। মোস্তাক আহম্মেদের বলিষ্ঠ আর দৃঢ় নেতৃত্বে বাগমারা উপজেলা সার্বিক আইন শৃংখলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভালো রয়েছে। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যেন ঘটতে না পারে সে ব্যাপারে সদা তৎপর থাকেন তিনি। মোস্তাক আহম্মেদ এর আগে রাজশাহীর মোহনপুর থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে সেখানে কর্মরত অবস্থায় তিনি শ্রেষ্ঠ ওসি হতে পারেননি।

বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, ‘আমি সরকারী নির্দেশনা মেনে সকল দায়িত্ব পালন করে চলেছি। সেই সাথে এলাকার শান্তি শৃংখলার যেন অবনতি না ঘটে সে ব্যাপারে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে থাকি। তিনি আরো বলেন, বাগমারা রাজশাহী জেলার মধ্যে বড় উপজেলা। বড় উপজেলা হওয়ায় অনেক সময় দু-একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তবে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে লোকজনের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকি। তারা যেন অকারনে সামান্য বিষয় নিয়ে নিজেকে মামলা মোকদ্দমায় না জড়ায়।’

এদিকে মাদক, বাল্য বিবাহ নিয়ন্ত্রণ, মামলার তথ্য উদঘাটন সহ দ্রুততার সাথে সার্বিক সকল বিষয়ে ভূমিকা রেখে চলেছি। মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, আমি চেয়েছি লোকজন যেনো হয়রানিমুক্ত সেবা পায়। লোকজন যেনো আমার কাছে ছুটে না আসে আমি নিজেই যেন লোকজনের দ্বারপ্রাপ্ত গিয়ে সঠিক সেবা প্রদান করতে পারি।

জি/আর

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর