বিমানবন্দরে চেকিংয়ের সময় হিন্দি ভাষায় কথা না বলার জেরে নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ভারতের একজন সাংসদের। অবশ্য কর্তব্যরত কর্মকর্তা তাকে হিন্দি বলার অনুরোধ জানান প্রথমে।
কিন্তু অনুরোধ মানতে রাজি হননি তামিলনাড়ুর ডিএমকে নেত্রী তথা সাংসদ কানিমোঝি। সে কারণে তাকে চরম অবমাননাকর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়।
সিআইএসএফ-এর ওই কর্মকর্তা কানিমোঝিকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি ভারতীয়? গতকাল রবিবার টুইট করে এ অভিযোগ করে তার জবাবও দিয়েছেন ডিএমকে সাংসদ।
তামিলনাড়ুতে আঞ্চলিক ভাষার ভূমিকা অনেক বেশি। প্রয়োজনে ইংরেজি। বিশেষ করে তামিলনাড়ুতে হিন্দি মানে আগ্রাসনের ইঙ্গিত। ভাষা নিয়ে দক্ষিণের এই রাজ্য বেশ স্পর্শকাতর, মাতৃভাষার শক্তির প্রতি এতটাই আত্মবিশ্বাসী যে স্রেফ তার ওপর ভর করেই যে কোনো আন্দোলনে নামতে দ্বিধা নেই তাদের। তার নজির আগেও পাওয়া গেছে একাধিকবার।
সেই রাজ্যের নেত্রী মাতৃভাষায় কথা বলবেন, সেটাই স্বাভাবিক। তবে সেজন্য তাকে যে অপমানের মুখে পড়তে হল, তা এক তিক্ত অভিজ্ঞতা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিমানবন্দরে কানিমোঝি হিন্দি না বলায় তাকে আধা সামরিক কর্মকর্তঅ জিজ্ঞেস করেন, তিনি ভারতীয় কি না? এ প্রশ্নে সাংসদ কানিমোঝি প্রাথমিকভাবে স্তম্ভিত হয়ে যান। তবে দ্রুত তা সামলে নিয়ে তিনি পালটা প্রশ্ন করেন, হিন্দি জানা কবে থেকে ভারতীয় হওয়ার পরিচয় হয়ে দাঁড়াল?
টুইটারেও এ প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। যদিও ব্যাপারটা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হতেই অনেকেই কানিমোঝির সমর্থনে পাশে দাঁড়ান। হিন্দি ভাষার আগ্রাসন নিয়ে প্রতিবাদী মন্তব্যও করেন।
এসবের জেরে বেশ চাপে পড়ে সিআইএসএফ। পাল্টা টুইট করে তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কারো ওপর কোনো ভাষা চাপিয়ে দেওয়া তাদের নীতি বিরুদ্ধ। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে সিআইএসএফ।
সুত্রঃ কালের কণ্ঠ