শনিবার , ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে ১০ সুপারিশ

Paris
সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪ ৭:১৪ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ পরবর্তী সব নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ ১০ দফা সুপারিশ করেছেন।

শনিবার রাজধানীর এফডিসিতে ‘গণতন্ত্র সুরক্ষায় রাষ্ট্র মেরামত এবং জাতীয় নির্বাচন’ নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব সুপারিশ করেন।

সুপারিশগুলো হলো- ১. নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারের পর একটি পূর্ণাঙ্গ নির্বাচনি রোডম্যাপ জাতির সামনে ঘোষণা করা। ২. অভিজ্ঞ, সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা, যারা কোনো চাপে বা লোভে মাথানত করবে না। ৩. তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করে নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দ্বারা জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন বিধান রাখা। ৪. বিদ্যমান সংসদীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের সমম্বয়ে দেশের বিশিষ্ট নাগরিক, প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, পেশাজীবী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে সংসদে উচ্চকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা প্রবর্তন করা। ৫. ইভিএমে ভোট প্রদানে কারচুপির শঙ্কা বেশি থাকায় এবং ইতোপূর্বে ইভিএমে ভোট জালিয়াতির ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট আয়োজন করা। ৬. নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের লক্ষ্যে সদ্য ঘোষিত কমিশনকে এজেন্ডাভিত্তিক রাজনৈতিক দলসহ নাগরিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করা। ৭. দুর্নীতিবাজ, টাকা পাচারকারী, ব্যাংক লুটেরাসহ ঋণ খেলাপিরা কোনোভাবেই যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে- সেই জন্য কঠিন আইনের বিধান রাখা। ৮. পর পর দুই টার্মের অতিরিক্ত কেউ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে না পারার বিধান রাখা। ৯. একটি নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে তা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা। ১০. বিগত কয়েকটি নির্বাচনকে যেসব কমিশন বা যারা বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার বিধান তৈরি করা।

কিরণ বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার ব্যতীত রাজনৈতিক দলগুলো দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের চাপ দিলে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা ব্যাহত হতে পারে। ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী বিপ্লবে যে বিজয় অর্জিত হয়েছে সে বিজয়ের সুফল ব্যাহত হবে। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারসহ রাষ্ট্র সংস্কারে কাজ করতে প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া উচিত। তবে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজন নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য রোডম্যাপ ঘোষণা করবে বলে সবার প্রত্যাশা।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।

 

সূত্র: যুগান্তর

সর্বশেষ - জাতীয়