সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
ঢাকার আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সুবীর চন্দ্র দাস হত্যা মামলায় তার দুই সহপাঠীকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সোমবার ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান চার বছর আগের এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির আসামি ফরহাদ হোসেন সিজু ও মো. হাসান পলাতক রয়েছেন।
অপর দুই আসামি শফিক আহমেদ রবিন ও কামরুল হাসান শাওনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
এ মামলায় অভিযুক্ত অপর আসামি রবিনের স্ত্রী লুৎফা আক্তার সনির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাকে বেকসুর খালাস দেয়।
রায়ে বলা হয়, ‘পূর্ব শত্রুতার জের ধরে’ ২০১৩ সালে ২১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সাভারের বাসা থেকে সুবীরকে (২২) ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। পরে সাভারের কোটালিয়া গ্রামে নদীর তীরে একটি ইটভাটার কাছ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সুবীরের বাবা গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাস এ ঘটনায় সাভার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। চলতি বছর ১১ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরুর পর ছয় মাসের মধ্যে এ মামলার রায় দেওয়া হল।
বিচার চলাকালে রাষ্ট্রপক্ষে ১৭ জন সাক্ষ্য দেন বলে এ আদালতের পেশকার নারায়ণ চন্দ্র সাহা জানান।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার আব্দুল মান্নান বলেন, “সনির সঙ্গে সুবীরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু পরে সনি গোপনে রবিনকে বিয়ে করেন এবং এ নিয়ে সহপাঠীদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। এর জের ধরেই সুবীরকে হত্যা করা হয়।”
সুবীরের বাবা এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে আব্দুল মান্নান জানান।
সূত্র: বিডিনিউজ