বৃহস্পতিবার , ১৩ জুন ২০১৯ | ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

সন্তান জন্মদানের ৩০ মিনিট পরই মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ!

Paris
জুন ১৩, ২০১৯ ৩:১৭ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সন্তান জন্ম দেয়ার ৩০ মিনিট পরই হাসপাতালের বিছানায় বসে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন এক মা।

গত সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের মেতু অঞ্চলে।

সেখানে আলমাজ ডেরেস নামের ২১ বছর বয়সী এক নারীর এমন দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন বিশ্ববাসীকে।

গত রমজান মাসেই দেশটিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল।

আর ঈদের পরে আলমাজের সন্তান প্রসবের দিন নির্ধারণ করেছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু রোজার কারণে পরীক্ষা পিছিয়ে ঈদের পর নিয়ে যাওয়া হয়।

এরই মধ্যে প্রসব বেদনা উঠলে সোমবার হাসপাতালে ভর্তি হন আলমাজ। আর এমনই ভাগ্য যে, সেদিনই পরীক্ষা শুরু হয় আলমাজের।

কিন্তু পরীক্ষায় অনিয়মিত হননি আলমাজ। হাসপাতালে সন্তান প্রসবের আধ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষা শুরু হলে তিনি হাসপাতালের বেডে বসে পরীক্ষার খাতায় উত্তর লিখতে শুরু করে দেন।

এ বিষয়ে আলমাজ বলেন, প্রস্তুতি তো আগেই নেয়া ছিল। তাই পরীক্ষা দিতে অসুবিধা হয়নি আমার। পরীক্ষায় অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকতে চাইনি আমি। আরও একটা বছর অপেক্ষা করার কোনো মানেই হয় না। তখন হয়তো অন্য কোনো সমস্যায় পড়তাম।

সোমবার সদ্য সন্তান ভূমিষ্ট করে যে তিনি তিনটি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন- ইংরেজি, আমহেরিক এবং গণিত।

বাকি পরীক্ষাগুলো আগামী দুদিনে পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়েই দিতে পারবেন বলে জানান আলমাজ ডেরেস।

আলমাজের স্বামী টেডেস টুলু জানান, স্ত্রীর এরকম অবস্থায় যাতে হাসপাতালেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয় সেজন্যে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিলেন। কর্তৃপক্ষ সে আবেদনে সাড়াও দেয়। সেজন্য তিনি ও তার স্ত্রী বিশেষ কৃতজ্ঞ।

তিনি আরও বলেন, তার স্ত্রী পড়াশুনায় বেশ আগ্রহী। তিনি এখন দুই বছরের একটি কোর্সে ভর্তি হতে চান। সেটি শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করতে ইচ্ছুক আলমাজ।

আলমাজ জানান, হাসপাতালে বসে দেয়া তিন পরীক্ষাই খুব ভালো হয়েছে। এতে তিনি খুব খুশি। তবে তার চেয়েও বেশি খুশি যে, তার নবজাতক শিশুটিও ভাল আছে।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক