শুক্রবার , ৩০ আগস্ট ২০২৪ | ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

শেখ হাসিনা জয়-সায়মাসহ আসামি ৪২৫

Paris
আগস্ট ৩০, ২০২৪ ৮:৪৩ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

চট্টগ্রামে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ (জয়), মেয়ে সায়মা ওয়াজেদসহ ৪২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সালাউদ্দিনের আদালতে মামলাটি করেন ব্যবসায়ী মামুন আলী।

একই মামলায় আসামি করা হয় শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিককেও। মামলার বাদীর বক্তব্য গ্রহণের পর আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিলে হট্টগোল শুরু হয়। একপর্যায়ে বিচারক বিব্রত হয়ে এজলাস থেকে নেমে খাস কামরায় চলে যান। পরে সরাসরি থানায় মামলা নেওয়ার আদেশ দেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক সেতু ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহিদুল হক, চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার, নগর গোয়েন্দা অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার তানভীর আরাফাত, নগরের হালিশহর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব কুমার চৌধুরী, আওয়ামী লীগের নেতা এরশাদুল আমীন, হালিশহর থানার তৎকালীন এসআই জামাল উদ্দিন, মাহবুব মোর্শেদ প্রমুখ।

মামলার আবেদনে বাদী উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালের ১৫ আগস্ট নগরের হালিশহর এলাকায় বাদীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠান করছিলেন। ওই সময় হালিশহর থানার ওসির নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন। সেখানে উপস্থিত থাকা বিএনপির ১৭ জন কর্মীসহ বাদীকে ধরে থানায় নিয়ে যান। থানায় ওসির নেতৃত্বে বাদীকে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে বাদীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। বাদীকে নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো হয় তাঁর বাবার কাছে। বাদীর বাবা ওসির দেখানো দুজন লোককে সাত লাখ টাকা চাঁদা দেন।

বাদীর আইনজীবী আশরাফুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, শুরু থেকে আমাদের আবেদন ছিল সরাসরি থানায় মামলা হিসেবে নেওয়ার আদেশের জন্য। কিন্তু আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। আমরা বলেছি, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যাব। আদালত তা না দেওয়ায় আমরা পুনরায় জোর আবেদন করেছি।’ হট্টগোল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আদালতে অনেকে থাকেন, কে বা কারা কী করেছেন, তা জানি না।

নগর পুলিশের উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) এ এ এম হুমায়ুন কবির বলেন, এজলাসে হট্টগোল ও আদালতের বারান্দায় মিছিল হচ্ছে শুনে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়।

 

সূত্র: যুগান্তর

সর্বশেষ - জাতীয়