পাবনা-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুল হক আরজুর প্রার্থিতা বাতিলের রায় নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও বহাল রাখা হয়েছে। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ইসির চতুর্থ দিনের শুনানিতে তার প্রার্থিতা বাতিলের রায় বহাল রাখা হয়। এদিন তার প্রার্থিতা নিয়ে অনুষ্ঠিত শুনানিতে তর্কবিতর্কও হয়।
জানা গেছে, অগ্রণী ব্যাংকে ঋণখেলাপির দায়ে সাবেক সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজুর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। এদিন ইসির শুনানিতে নিজে ঋণখেলাপি নন প্রমাণ করতে সময় চান আরজু। কিন্তু সেই সময় না দিয়ে আপিল না মঞ্জুর করে দেওয়া হয়। এসময় ইসির আপিল শুনানিতে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। আপিল শুনানিতে আরজু বার বার বলতে থাকেন, ‘আমি সাবেক সংসদ সদস্য। প্লিজ আমাকে বলতে দিন, আমার কথা শুনুন।’ তখন ইসির আপিল শুনানিতে বলা হয়, ‘আপনি হাইকোর্টে যান’।
এ কথা বলার পরই বুধবারের (১৩ ডিসেম্বরের) আপিল শুনানি সাময়িক চা বিরতি ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
ইসি জানায়, কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো ব্যক্তি চাইলে উচ্চ আদালতেও যেতে পারবেন। যুক্তিতর্কের মধ্যে ইসির আপিল শুনানিতে এই আপিলকারীর আচরণে বিরক্তিও প্রকাশ করে ইসি।
এসময় আরজু বলেন, ‘আমি ঋণখেলাপি নই। তবে এ সংক্রান্ত একটি সার্টিফাইড কপি হাতে পাইনি। আমার আইনজীবী খুরশীদ আলম খান অন্য একটি মামলায় ব্যস্ত থাকায় এটা হাতে পাননি। এজন্য ইসির আপিল শুনানিতে সময় চেয়েছিলাম হাইকোর্টের সার্টিফাইড কপি জমা দেওয়ার জন্য। এটা জমা দিলেই প্রমাণ হতো আমি ঋণখেলাপি নই। কিন্তু ইসি আমার কথা শোনেনি। বার বার আবেদন করা সত্ত্বেও আমার কথা শোনেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সবসময় দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমার বিশ্বাস হাইকোর্টে আমার আপিল গৃহীত হবে এবং ন্যায়বিচার পাবো।’