‘দমকা পাহাড়ি হাওয়ার দাপটে’ নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহেই গলা পর্যন্ত লেপ, কম্বল মুড়ি দিতে বাধ্য হয়েছেন দিল্লির বাসিন্দারা।শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ভোরের মধ্যে ভারতের রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
নভেম্বরে ১৪ বছরের মধ্যে সব থেকে কম তাপমাত্রা এটি। এক চুলের জন্য ছোঁয়া হলো না ২০০৬ সালের ২৯ নভেম্বরের রেকর্ড (৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস)।
দিল্লিতে নভেম্বরে সর্বকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৩৮ সালের ২৮ নভেম্বর এই তাপমাত্রা ছিল সেখানে।
সম্প্রতি তুষারপাত শুরু হয়েছে সমতলের কোল ঘেঁষা পশ্চিম হিমালয়ে। পাঞ্জাব, হরিয়ানার দিক থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা হাওয়ায় এক ধাক্কায় অনেকখানি তাপমাত্রা কমিয়ে দিয়েছে দিল্লির।
স্থানীয় আবহাওয়া পূর্বাভাস দপ্তরের বক্তব্য, সাধারণত নভেম্বরে ১০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা নামে মাসের একেবারে শেষ দিকে। সেখানে মাসএশষ হতে আরো ১০ দিন বাকি থাকতেই এবার ভোররাতে কাঁপুনি ধরার জোগাড়।
শীত যে এবার তাড়াতাড়ি দিল্লির দরজায় কড়া নেড়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু তার কামড় গত বছরের মতোই তীব্র এবং দীর্ঘমেয়াদি হবে কি না, তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা বাজার-দোকান-পাড়ার মোড়ে।
বিশেষ করে যেখানে আগামী দু’তিন দিনে দিল্লি-সহ উত্তর পশ্চিম ভারতে তাপমাত্রা আরও বেশ খানিকটা নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা।
সাধারণত সমতলে পর পর দু’দিন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নীচে এবং একই সঙ্গে অন্যান্য বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪.৫ ডিগ্রি কম থাকলে তাকে শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। দিল্লির বাঙালি মহল্লায় গুঞ্জন উঠেছে, এখনই এই অবস্থা! তাহলে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে কী হবে!
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ