নিজস্ব প্রতিবেদক:
র্যাবের হাতে আটক হয়েছে বিভিন্ন যৌন-সামগ্রীসহ মানব পাচারকারী চক্রের ১৬ সদস্য। বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে র্যাব-৫ এর সদস্য তাদেরকে আটক করে।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) র্যাব-৫ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আটকরা হলেন- রাজশাহী মহানগরের রামচন্দ্রপুর এলাকার আবেদ সরকারের ছেলে আমিনুল, মহানগরের দরগাপাড়া এলাকার নওশাদ আলীর ছেলে আসাদ আলী ওরফে সুজন, একই এলাকার বাবলুর রহমানের ছেলে স্বাধীন, মহানগরের হোসেনীগঞ্জ এলাকার মৃত মাজদার রহমানের ছেলে গোলাম রাব্বানী ওরফে বাপ্পি, নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর থানার নিজবাড়ি এলাকার মৃত শিশিন চন্দ্র দাসের ছেলে সুজন চন্দ্র দাস, রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পাঁচুবাড়ি গ্রামের শমসের আলীর ছেলে শহিদুল, রাজশাহীর বেলপুকুর এলাকার ছত্রগাছা এলাকার একরামের ছেলে মোখলেছুর রহমান, নারায়নপুর এলাকার সাহাদ আলীর ছেলে নসিব আলী ও মহানগরের হাদির মোড় এলাকার মৃত রমজান আলীর ছেলে শাহিন আলী।
এছাড়া আরও সাতজন নারী সদস্য আটক হয়েছেন। র্যাব-৫ সদস্যরা অভিযানের সময় এই মানবপাচার চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের যৌনসামগ্রী উদ্ধার করেছে। এছাড়া ১০০টি ভিজিটিং কার্ড, ২১টি মোবাইল ফোন ও নগদ ১ লাখ ৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাবের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়- আটককরা একটি বড় মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য। তারা নারী ও পুরুষ পাচার করে। তাদেরকে দিয়ে পতিতাবৃত্তিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও তারা জড়িত।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার সাহেববাজার স্বর্ণকারপট্টিতে থাকা ‘হোটেল ওয়েলকাম’ আবাসিক হোটেলে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওই হোটেলের তৃতীয় তলা থেকে তাদের আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার সকালে তাদেরকে বোয়ালিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘আটককৃত বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ হয়েছে।’
