মঙ্গলবার , ৪ অক্টোবর ২০১৬ | ১২ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

রামেক হাসপাতালে দু’দফা উত্তেজনা, হাতাহাতি, অবাধে স্বজন প্রবেশ বন্ধ

Paris
অক্টোবর ৪, ২০১৬ ৮:৩৬ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের রোগীর স্বজনদের সঙ্গে ইন্টার্নি ডাক্তারের মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটানায় হাসপাতালের প্রধান গেট বন্ধ করে দিয়েছে। এতে করে অবাধে রোগীর স্বজন প্রবেশ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে হঠাৎ করে পুরনো এই সিদ্ধান্ত নতুন করে বাস্তবায়ন করায় রোগীসহ  স্বজনরা দুর্ভোগে পড়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাজশাহী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জনি হোসেনকে (২০) রামেকের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তার সহপাঠিরা দুপুর ১২টার দিকে তাকে দেখতে যায়। এসময় তারা রোগী জনির কাছে ভিড় করলে তাদের ইন্টার্নি ডাক্তার অপু বাইরে চলে যেতে বলেন।

 

একপর্যায়ে অপু রামেক ছাত্রলীগের সভাপতি পরিচয় দেন। এই কথা শুনে জনির সহপাঠি মনিরুল ইসলামও নিজেকে ছাত্রলীগকর্মী বলে পরিচয় দেন।  এ সময় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পরে এই ঘটনায় ইন্টার্নি চিকিৎসকরা প্রায় আধাঘন্টা চিকৎসা সেবা বন্ধ রাখে। পরে তারা রামেকের পরিচালক ব্রিগিডিয়ার জেনারেল এএফএম রফিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় তারা পরিচালককের কাছে বিচারের দাবি করে এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে মনিরুল ইসলামকে গ্রেফতার দাবি করেন। পরে পরিচালক তাদের বিচারের আশ্বাস দিলে তারা আবার কাজ ফিরে যান।

এর আগে সকাল ৮ দিকে রামেকের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে নাটোরের গুরুদাসপুরের সোলেমান (৬০) মারা যায়। এরপর ভুল চিকিৎসায় ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন রোগীর স্বজনরা।

 

পরে ইন্টার্নি ডাক্তার সুকান্তর সঙ্গে রোগীর স্বজন মামুনের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইন্টার্নি চিকিৎসকরা কিছুক্ষণের জন্যে চিকিৎসা বন্ধ করে দেন। তবে পরে আবার পুরোদমে চলে।
ইন্টার্নি চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অপুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
রামেকের পরিচালক ব্রিগিডিয়ার জেনারেল এএফএম রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়গুলো সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।

এদিকে দুটি ঘটনার পর থেকে হাসপাতালে অবাধে রোগীর স্বজন প্রবেশ বন্ধ কেরে দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একজন রোগীর জন্য একটি করে পাশ দিয়ে হাসপাতালের অভ্যান্তরে প্রবেশ করার পুরনো সেই নিয়ম চালু করে কর্তৃপক্ষ। এতে করে হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত ব্যবস্থা চালু করায় ভোগান্তিতে পড়েন রোগীর স্বজন ও রোগীরা।

স/আর

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর