তিনি বলেন, আমাদের ৩৩৩ নম্বর আছে। সেখানে ফোন করলে আমরা খাবার বা নগদ টাকা পৌছে দিব। বর্তমানে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অবহ্যত রয়েছে। এর বাইরেও নগর আওয়ামী লীগ, ও সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করছে। পর্যাপ্ত খ্যাদ্য সামগ্রী আমাদের মজুদ আছে। কোন মানুষ খাদ্যর অভাবে সংকটে থাকবে না বলে জানান রাজশাহী জেলা প্রশাসক। এ সময় তিনি সকলকে স্বাস্থাবিধি মেনে বিনা প্রয়োজনে বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও জানান।
এসময় তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা না কমায় প্রশাসনের পক্ষে মহানগরীতে লকডাউন বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় সমন্বয়সভা শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হবে। ফলে চলমান সর্বাত্মক লকডাউন আগামী ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল আরও বলেন, ২৪ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত দ্বিতীয় দফা লকডাউন চলছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ধিত লকডাউনেও আগের মতোই দোকানপাট, গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। শুধু চালু থাকবে জরুরি পরিবহণ ও ওষুধের দোকান।
এদিকে রাজশাহীতে ঈদুল ফিতরের পর থেকেই আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু। বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় উপসর্গ নিয়ে ও করোনাক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেলে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ১১ জুন থেকে ১৭ জুন প্রথম দফা এবং ১৮ জুন থেকে ২৪ জুন দ্বিতীয়বারের মতো রাজশাহী মহানগরী এলাকায় সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা ও কার্যকর করা হয়। এবার আরেক দফা সর্বাত্মক লকডাউন দেওয়া হচ্ছে, যা ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। আগের লকডাউনের সব শর্ত ও বিধিনিষেধ এবারও বহাল থাকবে।
স/া