সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
নতুন নেতৃত্বের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করতে চাইলে রাশিয়াও আলোচনায় বসতে প্রস্তুত বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় এক সংবাদ সম্মেলনে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ ইঙ্গিত দেন।
কাজাখ প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর ল্যাভরভ জানান, মস্কো সংলাপের জন্য সবসময়ই উন্মুক্ত।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কখনো কারও সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করিনি। কারণ আমাদের দৃষ্টিতে আলোচনা সবসময় বিচ্ছিন্নতার চেয়ে ভালো’।
গত ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ডেমোক্রেট প্রার্থী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করেন। ২৯৪টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মত জয়ী হন ট্রাম্প।
এখন ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্ক কোন পথে এগোবে- সে বিষয়ে ল্যাভরভ বলেন, ‘দেখা যাক। যদি কোনো প্রস্তাব আসে, তবে আমি আবারও বলছি, সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত আমাদের কখনোই ছিল না। তাই সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের প্রস্তাব দেওয়ার দায়িত্বও আমাদের নয়। তবে যদি উভয়পক্ষের সমান অধিকার নিয়ে আলোচনা করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়, আমরা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত’।
এদিকে ওয়াশিংটনে রাশিয়ার নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ প্রসঙ্গে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে নতুন রুশ রাষ্ট্রদূত নির্বাচন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং এটি শীঘ্রই সম্পন্ন হবে। এ বিষয়ে আমরা যথাসময়ে জানাব’।
পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রও নতুন প্রশাসনের অধীনে মস্কোতে রাষ্ট্রদূত নিয়োগের চেষ্টা করবে বলে মনে করেন ল্যাভরভ।
সেই সঙ্গে, মস্কো এ প্রক্রিয়ায় কোনো বাধা দেবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
২০১৭ সাল থেকে ওয়াশিংটনে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে থাকা আনাতোলি অ্যান্তোনভকে গত ১০ অক্টোবর বরখাস্ত করেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে তার উত্তরসূরির নাম এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
সূত্র: যুগান্তর