এক ডোজেই ‘প্রতিরোধ’ হচ্ছে করোনাভাইরাস। পাশাপাশি অন্য মারাত্মক রোগের ঝুঁকিও বাড়ছে না। মার্কিন ওষুধ প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠান মডার্না তাদের কভিড-১৯ রোগের ভ্যাকসিন নিয়ে শুক্রবার এই খবর দিয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, নতুন করে ইঁদুরের ওপর একগুচ্ছ গবেষণার পর এমন ফলাফল পেয়েছে কোম্পানিটি।
নতুন ভাইরাসের প্রায় সমান বৈশিষ্ট্যের আরেকটি সার্স ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখতে পান এই ধরনের রোগের টিকা ব্যবহার করলে অন্য ক্ষতিকর জীবাণুর সংস্পর্শে গেলে ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। এই ফলাফলের পর মডার্না নতুন করে গবেষণা শুরু করে।
বায়োআর্কাইভ নামের একটি বিজ্ঞান বিষয়ক আর্কাইভে ভ্যাকসিনটির ট্রায়ালের সঙ্গে যুক্ত একাধিক দেশের গবেষক লিখেছেন, ইঁদুরগুলোকে বিভিন্ন ধরনের ডোজের একটি অথবা দুটি করে শট দেয়া হয়। এরপর প্রাণীগুলোকে ভাইরাসের সংস্পর্শে আনা হয়।
পরীক্ষায় দেখা গেছে, নভেল করোনাভাইরাসকে আটকে দিতে ভ্যাকসিনটি অ্যান্টিবডির প্রতিক্রিয়া শক্তিশালী করছে।
একই পরীক্ষায় দেখা যায়, ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর কোনো নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ছাড়াই প্রদাহ থেকে রক্ষা পাচ্ছে ফুসফুস।
বিজ্ঞানীদের দাবি, যে ইঁদুরগুলোতে একটি ডোজ দেয়া হয়েছিল সাত সপ্তাহ পরও তারা ফুসফুসের সংক্রমণ থেকে সম্পূর্ণ রক্ষা পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বেইলর কলেজ অব মেডিসিনের গবেষক পিটার হোটেজ মেইলে পাঠানো উত্তরে রয়টার্সকে এ বিষয়ে বলেন, ‘প্রথম দেখায় এই ভ্যাকসিন দারুণ মনে হচ্ছে। বিশেষ করে ইঁদুরের শরীরে যেভাবে অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে সেটি আশা জাগানিয়া।’
এই গবেষণাটি স্বাধীনভাবে বিশ্লেষণের জন্য এখনো কোনো জার্নালে পাঠানো হয়নি। তবে সেই প্রক্রিয়া চলছে।
মডার্নার গবেষকেরা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যবান সেচ্ছাসেবীদের শরীরে ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল এখন মধ্য-পর্যায়ে রয়েছে। ৩০ হাজার মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে জুলাইতে শেষ ধাপের ট্রায়াল শুরু হবে।
ভ্যাকসিন ট্রায়ালের প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ধাপই বেশি চ্যালেঞ্জিং। এই দুই ধাপে একসঙ্গে অনেক মানুষকে যুক্ত করা হয়। চূড়ান্ত ঝুঁকি এখানেই বোঝা যায়।