ভারতে চার বছরে চিতাবাঘ বেড়েছে প্রায় পাঁচ হাজার। আদম শুমারি অনুযায়ী, দেশটিতে ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে চিতাবাঘের এই বৃদ্ধি হয়েছে।
২০১৮ সালের চিতাবাঘ শুমারির ফলাফল অনুসারে সব মিলিয়ে ভারতের চিতাবাঘের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৮৫২টিতে।
ভারতের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওয়াইল্ডলাইফ প্রোটেকশন সোসাইটি অব ইন্ডিয়া এই তথ্য দিয়েছে।
যদিও চোরা শিকারিদের হাতে অথবা লোকালয়ে এসে মানুষের পিটুনিতে ভারতে ২০১৯ সালে ৪৯১টি চিতাবাঘের মৃত্যু হয়। এর আগের বছর অবশ্য সংখ্যাটি ছিল আরও বেশি, সমান ৫০০টি। তারপরও সদ্য প্রকাশিত দেশটির সর্বশেষ শুমারিতে চিতাবাঘ বৃদ্ধির সংবাদ উঠে এল।
শুমারির ফলাফলে বলা হয়েছে, চার বছরে চিতাবাঘ বেড়েছে ৪ হাজার ৯৪২টি। এর আগে ২০১৪ সালে প্রথম পরিচালিত চিতাবাঘ শুমারির ফল প্রকাশ হয় ২০১৫ সালে। তখন ভারতে ১৮টি রাজ্যের অভয়ারণ্য ও ব্যাঘ্র প্রকল্পে ৭ হাজার ৯১০টি চিতাবাঘ থাকার কথা বলা হয়।
পশ্চিমবঙ্গে চিতাবাঘ বেশি মিলছে বক্সা, জলদাপাড়া ও গরুমারা অভয়ারণ্যে। এখানে রয়েছে ৯০টি চিতাবাঘ। চিতাবাঘের এ সমীক্ষা চলে ভারতের ১৮টি রাজ্যের ৩ লাখ ৮১ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটার বনাঞ্চলজুড়ে। ১৪১ এলাকার ২৬ হাজার ৮৩৮টি জায়গায় ক্যামেরা ট্র্যাপ করা হয়।
শুমারিতে উঠে আসে প্রায় সাড়ে তিন কোটি ছবি। এর মধ্যে ৫১ হাজার ৭৭৭টি ছবি ছিল শুধু চিতাবাঘের। ছবি বিশ্লেষণ করে ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া বলেছে, দেশে কমপক্ষে ১২ হাজার ৮৫২টি চিতাবাঘ রয়েছে। এ সমীক্ষার বাইরেও চিতাবাঘ থাকতে পারে।
চিতাবাঘের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় খুশি ভারতের কেন্দ্রীয় বন প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এটা আমাদের বন্য প্রাণী সংরক্ষণে বিরাট সাফল্য। এ সাফল্যকে ধরে রাখার জন্য আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। চিতাবাঘ মারা বন্ধ করতে হবে।’
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন