মঙ্গলবার , ২৬ জুন ২০১৮ | ২৮শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

প্লাস্টিক ক্যারেট ব্যবহার: লোকসানের মুখে বাঘার বাঁশের টুকরি শিল্প

Paris
জুন ২৬, ২০১৮ ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ

আমানুল হক আমান:
রাজশাহীর বাঘায় আমের জন্য বিখ্যাত। পদ্মার তীরবর্তী বাঘা উপজেলার আম রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি হয়। এই আম দেশের বাইরে আটটি দেশে যাচ্ছে। তবে প্লাস্টিকের ক্যারেটের প্রচলন বেড়ে যাওয়ায় আমের ব্যপারীরা বাঁশের তৈরী করা টুকরির ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে বাঁশের টুকরি এ শিল্প লোকসানের মুখে পড়েছে। ফলে বাঁশের টুকরি প্রায় বিলুপ্তর পথে।

জানা যায়, কয়েক বছর আগে আম বাজার জাতকরনের প্যাকিং হিসেবে ব্যবহার হয় বাঁশের তৈরী টুকরি। প্লাস্টিকের প্রবনতা আসার পর কমে গেছে এ শিল্প। উপজেলার গাওপাড়া, মশিদপুর ও আড়ানী সাহাপুর গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক টুকরি তৈরীর সাথে জড়িত ছিল। বর্তমানে ১৫ থেকে ২০টি পরিবার পরিবার এর সাথে জড়িত রয়েছে। আম মৌসুমে তাদের প্রধান উপার্জন ছিল বাঁশের টুকরি তৈরী করা। তারা এ পেশা অনেকই পরিবর্তন করেছেন। বর্তমানে প্লাস্টিকের ক্যারেটের প্রচলন বেড়ে যাওয়ায় আমের ব্যপারীরা বাঁশের তৈরী করা টুকরির ব্যবহার কমে দিয়েছে।

উপজেলার দক্ষিণ গাওপাড়া গ্রামের বাঁশের তৈরী টুকরি কারিগর আজমল হক জানান, একজন কারিগর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধিক টুকরি তেরী করতে পারেন। প্রতিটি টুকরির মূল্য ২০ থেকে ২৫ টাকা। তবে কোন কোন সময় চাহিদা বাড়লে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দামে বিক্রি হয়। কিন্তু আমার ৬ সদস্যের সংসার পরিচালিত করা দায় হয়ে পড়েছে। বর্তমানে টুকরি বিক্রি করে লাভ করা খুব কঠিন। প্লাস্টিকের ব্যবহারে ব্যবসা অনেকটা কমে গেছে। গাওপাড়া গ্রামে বর্তমানে ১৫ থেকে ২০ পরিবার টুকরি তৈারীর কাজ করে।

উপজেলার দক্ষিণ গাওপাড়া গ্রামের আরেক নারী রওশন আরা জানান, সরাসরি আমের ব্যাপারিরা টুকরি কিনতে আসে না। ফড়িয়াড়রা কিনে নিয়ে যায়। সরাসরি আম ব্যাপারিরা কিনলে দাম ভলো পাওয়া যায়। তারপর এখন প্লাস্টিকের ক্যারেটের কারনে বাঁশের টুকরি চাহিদা কমে গেছে।

মুশিদপুর গ্রামে শহিদুল ইসলাম জানান, টুকরি বিক্রি করে আগে ভাল উর্পাজন করেছি। কিন্তু এখন পেট চলায় দায় হয়ে পড়েছে। গত বছরের শতাধিক টুরকি বিক্রি করতে না পেরে এক বছর পড়ে ছিল। তবে এগুলো এ বছর প্রথমের দিকে বিক্রি হয়েছে।

পার্শবর্তী লালপুর থেকে টুকরি কিনতে আসা জহুরুল ইসলাম বলেন, এখান থেকে টুকরি কিনে বিভিন্ন আম ব্যবাসয়ীদের কাছে বিক্রি করি। তবে বর্তমানে চাহিদা কম।

স্থানীয় আব্দুল লতিফ মিঞা জানান, টুকরি মুলত আমের জন্য বেশি জনপ্রিয়। বর্তমানে প্লাস্টিকের কারনে এ শিল্প লোকসানের মুখে রয়েছে।

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সাবিনা বেগম সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলাতে ও পরিবহনের জন্য টেকশয়ের জন্য প্লাস্টিকের কেরেটের ব্যবহার বেড়েছে। এছাড়া আম বিদেশে রপ্তানির কাজেও প্লাস্টিকের কেরেট ব্যবহার হচ্ছে। ফলে বাঁশের তৈরী টুকরির ব্যবহর কমে গেছে। তারপরেও যথেষ্ট ব্যবহার হচ্ছে বাঁশের তৈরী টুকরি।
স/শ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর