রবিবার , ১১ আগস্ট ২০২৪ | ৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বাংলাদেশে সংস্কার নয়, ‘গণ-অরাজকতা’ চলছে: সজীব ওয়াজেদ জয়

Paris
আগস্ট ১১, ২০২৪ ৩:৩৯ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশে পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, দেশে সংস্কার নয়, ‘গণ-অরাজকতা’ চলছে। শনিবার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের ছয়জন বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন।

বিচারপতিদের পদত্যাগের বিষয়টিকে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

রবিবার শপথ নিয়েছেন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

এর আগে শনিবার রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে সজীব ওয়াজেদ জয় তার উদ্বেগের কথা জানান।

পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যে সাংবাদিকদেরকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে, সে ঘটনারও প্রতিবাদ জানান মি. ওয়াজেদ।

এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে শপথ নিলেও রোববার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা সরকার।

সংস্কার নয়, এটি গণঅরাজকতা: সজীব ওয়াজেদ জয়
সজীব ওয়াজেদ জয় শনিবার রাতে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, “আজ প্রতিবাদকারীরা সুপ্রিম কোর্টে আক্রমণের হুমকি দিয়েছে এবং বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। তারা আদালতের পদত্যাগ দাবি করেছে এবং তাদের মনোনীত ব্যক্তিদের নিয়োগের একটি তালিকা সরবরাহ করেছে।”

এক্ষেত্রে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মি. ওয়াজেদ।

‘অন্তর্র্বতীকালীন সরকার আন্দোলনকারীদের দাবির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে’ দাবি করে তিনি লিখেছেন, “প্রতিবাদকারীদের মনোনীত বিচারকদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। একটি দেশের সুপ্রিম কোর্টকে কোন প্রক্রিয়া ছাড়াই, নির্বাচিত সংসদ ছাড়াই কীভাবে পরিবর্তন করা যায়?”

মি. ওয়াজেদ বলেন, “এটি সংস্কার নয়, এটি গণঅরাজকতা। বাংলাদেশে কোন আইনশৃঙ্খলা নেই যখন এমনকি সুপ্রিম কোর্টও নিরাপদ নয়।”

এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের যে তালিকা তৈরি করে তাদের বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে – তা নিয়েও প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন শেখ হাসিনার পুত্র মি. ওয়াজেদ।

তিনি ওই ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, “আমার মায়ের সরকারের বিরুদ্ধে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমনের অভিযোগ আনার পর, এটি কি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আরও গুরুতর আক্রমণ নয়? তাহলে কি এখন জনতা সাংবাদিকদের বহিষ্কার করার জন্য তালিকা দেবে?”

প্রধান বিচারপতি ও দুই উপদেষ্টার শপথ
এদিকে, বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টাসহ নতুন সরকারের ১৪ জন উপদেষ্টা দায়িত্ব নিলেও বাকি ছিলেন তিন জন।

তাদের মধ্যে থেকে সুপ্রদীপ চাকমা এবং ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার শপথ নিয়েছেন রোববার। তাদের শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

অন্যদিকে, গোপালগঞ্জে সেনা টহল দলের উপর বিক্ষোভকারীদের হামলার পর সেখানে বাড়িত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্ত:বাহিনী গণসংযোগ পরিদপ্তর বা আইএসপিআর।

গত কয়েকদিন যাবত শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে গোপালগঞ্জে বিক্ষোভ চলছে।

এর মধ্যে শনিবার সেনা টহল দলের উপর বিক্ষোভকারীরা হামলা চালালে অন্তত ১৫জনআহত হন।

এদিকে, দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। গত নয় বছর ধরে ভারতে অবস্থান করছিলেন তিনি।

শনিবার বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, রোববার মি. আহমেদ দিল্লি থেকে ঢাকায় ফিরবেন।

সচিবালয়ে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের নতুন উপদেষ্টারা
ছবির ক্যাপশান,সচিবালয়ে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের নতুন উপদেষ্টারা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভের পর শনিবার প্রধান বিচারপতিসহ আপীল বিভাগের ছয়জন বিচারপতি পদত্যাগ করেন।

পরে রাতেই সৈয়দ রেফাত আহমেদকে দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

আজ মি. আহমেদ প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেয়ার পর আপিল বিভাগের বাকি বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হতে পারে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রধান বিচারপতিসহ ৬জন বিচারপতি পদত্যাগপত্র জমা দেন।

শিক্ষার্থীরা হাইকোর্টে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। তারা প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে পদত্যাগের জন্য দুপুর একটা পর্যন্ত সময় দেন।

পরে আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন প্রধান বিচারপতি। এই পদত্যাগপত্রে তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্ট বিল্ডিং এবং এর রেকর্ডসমূহ রক্ষা, কোর্ট প্রাঙ্গণ রক্ষা, বিচারপতিদের বাড়িঘর, জাজেস টাওয়ার রক্ষা, বিচারপতিগণকে শারীরিক হেনস্থা থেকে রক্ষা করতেই তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গোপালগঞ্জে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন:
শনিবার বিকেলে গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর টহল দলের ওপর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলার পর রাতে বিবৃতি দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর বা আইএসপিআর।

বিবৃতিতে বলা হয়, সদর উপজেলার গোপীনাথপুরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সেনা টহল দলের ওপর হামলা করেছে বিক্ষোভকারীরা।

বিক্ষোভকারীরা সেনা টহল দলের ওপর ইট-পাটকেল ছুঁড়ে এবং দেশীয় তৈরি অস্ত্র দিয়ে টহল দলের সদস্যদের আঘাত করে। তারা সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয় এবং দু’টি গাড়ি ভাঙচুর করে বলেও জানানো হয় এই বিবৃতিতে।

এতে বলা হয়, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সেনা টহল দল চার রাউন্ড এ্যামোনিশন ফায়ার করেছে। পরিস্থিতির তীব্রতা বিবেচনায় ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের হামলায় তিনজন কর্মকর্তা, একজন জুনিয়র কমিশন কর্মকর্তা ও পাঁচজন সেনাসদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত সেনা সদস্যরা আশঙ্কামুক্ত ও চিকিৎসাধীন রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে এই বিবৃতিতে।

শনিবার কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারা সচিবালয়ে গেলেও রোববার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেন অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের নতুন উপদেষ্টারা।

সকালে তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিতে দেখা যায় মন্ত্রণালয়ের কর্তকর্তা-কর্মচারিদের।

এসময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ অনেককেই উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে।

সকালে সচিবালয়ে গিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও নতুন সরকারের ডাক ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

এসময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “কথায় কথায় ইন্টারনেট বন্ধ করা চলবে না। ইন্টারনেট রাইটস মানবাধিকার। এটা লঙ্ঘন করা যাবে না।”

এছাড়া বিগত সময়ে ইন্টারনেট শাটডাউনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান এই ছাত্র নেতা।

মি. ইসলাম বলেন, “দুর্নীতি প্রশ্রয় দেবো না। তারুণ্য নির্ভর আইসিটি খাত গঠনে কাজ করবো।তরুণদের কথা শুনবো।” সূত্র: বিবিসি বাংলা

সর্বশেষ - রাজনীতি