বগুড়ায় করোনায় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীসহ চারজনের মৃত্যু

বগুড়ায় শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী, কলেজের সহকারী অধ্যাপকসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আইসোলেশন ও হাসপাতাল সূত্র এ সব তথ্য দিয়েছে।

বগুড়া টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ (টিএমসি) ও রফাতউল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালের সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রহিম জানান, প্রকৌশলী সালাউদ্দিন (৫৪) বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলায় বসবাস করতেন। তার বাড়ি পাবনা সদরের কাঁচারিপাড়ায়। এলজিইডির ঢাকা সদর দফতরে রাজশাহী উন্নয়ন প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী পদে কর্মরত ছিলেন।

এর আগে তিনি বগুড়ার শিবগঞ্জ, ধুনট ও শাজাহানপুর উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দিলে গত ৩১ মে নমুনা দেন। ১ জুন তার শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে গত ৪ জুন এ হাসপাতালে ভর্তি হন। শনিবার রাতে অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। রোববার সকাল ৮টার দিকে তিনি মারা যান।

সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রহিম জানান, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ঘোষগাথি গ্রামের বৃদ্ধ জয় গোবিন্দ (৭৫) করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ১৯ জুন বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষা করা হলে তিনি করোনা পজিটিভ হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার বেলা ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. খায়রুল বাশার মোমিন জানান, গাবতলীর লাঠিগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক এএইচএম শাফিউল আলম (৫৯) গত প্রায় ১২ দিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। নমুনা পরীক্ষায় তিনি ১৯ জুন করোনা পজিটিভ হন। পরদিন বেলা ১২টার দিকে তাকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তিনি রোববার সকাল ৮টার দিকে মারা যান। তার বাড়ি গাবতলী উপজেলার হামিদপুর গ্রামে।

এ ছাড়া বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলার জাহানারা বেগম (৮০) করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ১৩ জুন রাত সাড়ে ৮টায় আইসোলেশনে ভর্তি হন। পরদিন নমুনা পরীক্ষায় তার শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। তিনি কিডনি সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত ১৬ জুন থেকে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার বিকাল ৩টার দিকে মারা যান।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন বগুড়া শাখার অর্গানাইজার প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, প্রকৌশলী সালাউদ্দিনের লাশ তার গ্রামের বাড়ি পাবনার সাঁথিয়ায় এবং জয় গোবিন্দের লাশ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পাঠানো হয়েছে। জেলা বিএনপি নেতা ফজলুল বারী তালুকদার বেলালের মা জাহানারা বেগমের লাশ আদমদীঘি এবং সহকারী অধ্যাপক এএইচএম শাফিউল আলমের লাশ গাবতলীর হামিদপুরের বাড়ির কবরস্থানে দাফন করা হয়।

 

সূত্রঃ যুগান্তর