সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
ইরান বলছে, তারা নতুন একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে যার পাল্লা দুই হাজার কিলোমিটার।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে খোরামশার নামের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপের ছবি প্রচার করা হয়। রাজধানী তেহরানে গত শুক্রবার সামরিক কুচকাওয়াজের সময় এই ক্ষেপণাস্ত্রটির কথা প্রথম প্রকাশ করা হয়েছিলো।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ব্যাপক সমালোচনার কয়েকদিন পরেই ইরান সবশেষ এই পরীক্ষাটি চালালো।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে মি. ট্রাম্প ইরানকে একটি ‘দুষ্ট’ দেশ বলে উল্লেখ করে এর ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে আক্রমণ করেন। এছাড়াও ২০১৫ সালে ইরানের সাথে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো যে পরমাণু চুক্তি সই করেছিলো তারও তীব্র সমালোচনা করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
ইরান তার কর্মসূচির পক্ষে অবস্থান তুলে ধরে বলেছেন, আত্মরক্ষার স্বার্থেই তাদের এই কর্মসূচির প্রয়োজন রয়েছে।
তেহরান বলছে, পরমাণু অস্ত্র বহন করার উদ্দেশ্যে এসব রকেট তৈরি করা হয়নি। প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বরং বলেছেন, তার দেশ ভবিষ্যতে তাদের সামরিক শক্তি আরো বৃদ্ধি করবে।
সবশেষ এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেনারেল আমির হাতামি বলেছেন, এই রকেটের অসাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে।
“শত্রুর প্রতিরক্ষা ব্যুহ ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ার ক্ষমতা আছে এই ক্ষেপণাস্ত্রটির। নিক্ষেপ করার পর থেকে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত না করা পর্যন্ত এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব,” বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এসব ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করার ব্যাপারে ইরানকে কোন দেশের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে না।
গত জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের তরফে ইরানের উপর নতুন করে কিছু নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করা হয়েছিলো। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ ছিলো যে তেহরান সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে সহায়তা করছে।
গত জানুয়ারি মাসে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পরও ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলো যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন থেকে বলা হয়, ওই পরীক্ষা ছিলো ২০১৫ সালের চুক্তির লঙ্ঘন।
কিন্তু তেহরানের পক্ষ থেকে বলা হয় এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সাথে চুক্তির কোন বিরোধিতা নেই। কারণ এসব ক্ষেপণাস্ত্র পরমাণু অস্ত্র বহন করার জন্যে তৈরি করা হয়নি।