ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি দিল্লির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার মৃত্যুতে ভারত সরকার সোমবার থেকে সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে।
প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ গত ৯ আগস্ট রাতে দিল্লির বাড়িতে বাথরুমে পড়ে গুরুতর আহত হন। পর দিন সকাল থেকে তার স্নায়ুতে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসকদের পরামর্শে দ্রুত ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এমআরআই করে দেখা গেছে মাথার ভেতর রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর অবস্থার উন্নতি হয়নি। ১৩ আগস্ট থেকে তিনি গভীর কোমায় চলে যান।
প্রণব মুখার্জি দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। হাসপাতালে ভর্তির পর ধরা পড়ে তিনি করোনায় আক্রান্ত। এমন অবস্থাতেই ওই দিন রাতে দীর্ঘ অস্ত্রোপচার হয় তার। এর পরেই ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল প্রণব মুখার্জিকে। অস্ত্রোপচারের আগে নিজের করোনা সংক্রমিত হওয়ার খবর টুইট করে জানিয়েছিলেন তিনিই। সেটাই ছিল প্রণব মুখোপাধ্যায়ের শেষ টুইট।
প্রণব মুখার্জির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাবেক এ রাষ্ট্রপতির পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নেওয়ার ছবি পোস্ট করে টুইটারে মোদি লেখেন, ‘ভারতরত্ন শ্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে ভারত শোক প্রকাশ করছে। তিনি দেশের উন্নয়নের গতিপথে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন।’
এদিকে সাবেক এ প্রেসিডেন্টর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রণব মুখার্জির মৃত্যুতে ভারত হারালো একজন বিজ্ঞ ও দেশপ্রেমিক নেতাকে আর বাংলাদেশ হারালো একজন আপনজনকে। তিনি উপমহাদেশের রাজনীতিতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে বেঁচে থাকবেন।
সোমবার নয়াদিল্লির আর্মি রিসার্চ অ্যান্ড রেফারাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
উল্লেখ্য, প্রণব মুখোপাধ্যায় ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ভারতের রাষ্ট্রপতি ছিলেন।