বিপুল পরিমাণ মাদকসহ রাজধানীর বারিধারা থেকে গ্রেফতার মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় করা মাদক মামলায় আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
আদালতসূত্র জানান, ১ আগস্ট রাতে ডিবি পুলিশের একটি দল বারিধারায় পিয়াসার বাসায় অভিযান চালিয়ে ৪ প্যাকেট ইয়াবা ও রান্নাঘরের ক্যাবিনেট থেকে ৯ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করে। ফ্রিজে পাওয়া যায় সিসা তৈরির কাঁচামাল। এরপর পিয়াসার দেওয়া তথ্যে কথিত মডেল মরিয়ম আক্তার মৌকে ধরতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। তার বাসা থেকেও বিপুল পরিমাণ মদ জব্দ করা হয়। রাত ১টার দিকে মৌকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন গুলশান থানায় পিয়াসার বিরুদ্ধে ও মোহাম্মদপুর থানায় মৌর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে পুলিশ।
সে সময় পুলিশ জানিয়েছিল, পিয়াসা ও মৌ সংঘবদ্ধ একটি চক্র। তারা পার্টির নামে উচ্চবিত্তদের বাসায় ডেকে মদ ও ইয়াবা খাইয়ে আপত্তিকর ছবি তুলে রাখতেন। পরে সে ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিতেন। ১১ আগস্ট রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে পিয়াসাকে কারাগারে পাঠায় আদালত। এদিন ভাটারা থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে এই মডেলকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ভাটারা ও গুলশান থানার মাদক আইনের পৃথক দুই মামলায় ফের পাঁচ দিন করে মোট ১০ দিন রিমান্ডে নিতে আবেদন করে সিআইডি। তখন পিয়াসার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে তার জামিন আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
৬ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী শুনানি শেষে মডেল পিয়াসার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই দিন গুলশান থানায় করা মাদকের মামলায় রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হলে একই মামলায় আরও ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবেদন করেন। শুনানি শেষে গুলশান থানার মামলায় দুই দিন ও ভাটারা থানার মামলায় তিন দিন রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন