পাগলের তাণ্ডব : ত্রিপুরায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৫

বাকরুদ্ধ খোয়াইবাসী। স্থানীয় লালটিলা শেওড়াতলির উত্তর রামচন্দ্রঘাট এলাকার মানুষ শিউরে উঠছেন শাবল নিয়ে একের পর এক জনকে খুঁচিয়ে খুনের মুহূর্তটি মনে করে। নৃশংস এই ঘটনায় ত্রিপুরা পুলিশের এক কর্মকর্তাসহ মোট পাঁচজন খুন হয়েছেন। মৃতদের মধ্যে দুজন শিশু।

এমনিতেই পুর ও নগর পঞ্চায়েত ভোটের রাজনৈতিক হামলায় সন্ত্রস্ত পুরো রাজ্য। এই ভোট সন্ত্রাস, অভিযোগ ও বিশৃঙ্খল পরিবেশের মধ্যে খোয়াই জেলার উত্তর রামচন্দ্রঘাটে পরপর খুনের ঘটনা আরো ভয় ছড়িয়ে দিয়েছে। আগরতলার সংবাদ মাধ্যমের দাবি, এলাকার প্রদীপ দেবরায় ওরফে কুট্টি ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’। তিনিই খুন করেছেন।

kalerkanthoস্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, গত কদিন ধরেই বিকারগ্রস্ত প্রদীপ চুপচাপ ছিল। কারোর সাথে কথাবার্তা বলত না। শুক্রবার রাতে হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে ওঠে। শাবল নিয়ে হামলা শুরু করে। তাকে থামাতে গিয়ে মারাত্মক জখম হন খোয়াই থানার সেকেন্ড অফিসার সত্যজিৎ মল্লিক। আক্রমণকারী প্রদীপ শাবল দিয়ে তার দুই সন্তানকে খুন করে।

শাবল দিয়ে স্ত্রী মীনা পাল দেবরায় ও দুই কন্যাকে জখম করে প্রদীপ। এলাকার বিভিন্ন বাড়ি ঘরে গিয়ে হামলা করে। যারা বেরিয়ে আসেন তাদের ওপর হামলা করে প্রদীপ। উত্তেজিত প্রদীপ যাকে সামনে পায় তাকেই শাবল দিয়ে আঘাত করছিল বলে জানান উত্তর রামচন্দ্রঘাট বাসিন্দারা। আচমকা একটি অটোতে হামলা চালায়। অটোতে থাকা কৃষ্ণ দাস ও তার ছেলে করণবীর দাসকে জখম করে। ঘটনাস্থলেই কৃষ্ণ দাসের মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলেই আরো কজন রক্তাক্ত ও মারাত্মক জখম হন।

রাতেই খোয়াই থেকে আগরতলার জিবি হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছিল সত্যজিত মল্লিককে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। হামলাকারী প্রদীপ দেবরায়ের দুই কন্যা, তার ভাই ও একজনের মৃত্যু হয়েছে।