সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
পশ্চিমবঙ্গের নাম ‘বাংলা’ করার উদ্যোগের পেছনে চক্রান্ত রয়েছে বলে দাবি করেছেন ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা দলের (বিজেপি) রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। গতকাল রোববার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়ায় বিজেপির এক যুব মোর্চা সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ভারতের জাতীয় সংগীতে ‘বঙ্গ’ শব্দটি আছে, তাই তাঁরা চেয়েছিলেন রাজ্যের নাম ‘বঙ্গ’ রাখা হোক। কিন্ত ‘বঙ্গ’ নাম না রেখে ‘বাংলা’ রাখা হলো। ‘বাংলা’ শব্দটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতে আছে। ফলে এর পেছনে একটা চক্রান্ত রয়েছে।’
পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি আরো বলেন, ‘আমরা পশ্চিমবঙ্গ নাম নিয়েই থাকতে চাই। কারণ এই নামের সঙ্গে আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, স্বাধীনতা সংগ্রাম, রক্ত এবং উদ্বাস্তু হওয়ার স্মৃতি জড়িয়ে আছে। তাই সেই স্মৃতিকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে আমরা তা কোনোভাবেই মেনে নেব না।
দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন, বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ সরকার সংখ্যালঘু ভোটের রাজনীতি করছে। বাংলাদেশের সঙ্গে বর্ডার সিল করে দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এই রাজ্য সরকার সেটা করেনি। পুলিশ প্রশাসনকে সংগত করার প্রয়োজন ছিল সেটাও করেনি। ফলে পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গি ধরা পড়ার ঘটনা ঘটছে। দিলীপ ঘোষ বলেন, ভারতের অন্যান্য রাজ্যে যেখানে সন্ত্রাসবাদ শেষ, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে এখনো জঙ্গি ধরা পড়ার মতো ঘটনা ঘটছে।
দিলীপ ঘোষ বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে। সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এমনকি হত্যাও করা হচ্ছে। এই বিষয়েও এদিন উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
ভারতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রশ্নে দিলীপ ঘোষ বলেন, এখানে আমরা ‘জিনে অর জিনে দো’ নীতিতেই বিশ্বাসী। ভারতে সবার নিজের মতো করে বাঁচার অধিকার আছে। ভারতে কাউকে না জোর করে নিজের ধর্মে আনা যাবে। বিজেপি সেই নীতিতেই বিশ্বাসী বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি।
সূত্র: এনটিভি