শুক্রবার , ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

নওগাঁয় গবাদি পশু বেচা-কেনার হাটে চাঁদাবাজি !

Paris
সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৬ ৫:০০ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক ,নওগাঁ:
নওগাঁ জেলার গবাদি পশু বেচা কেনার হাটগুলিতে অতিরিক্ত টোল আদায়ের মাধ্যমে ক্রেতা বিক্রেতাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ইজারাদারদের বিরুদ্ধে। টোল আদায়ে হাট গুলিতে মানা হচ্ছে না নিয়মনীতি। নেই টোল আদায়ের তালিকাও। অতিরিক্ত টাকা দিতে না চাইলে ক্রেতা বিক্রেতাদের করা হচ্ছে লঞ্ছিত।

 

জানা গেছে, নওগাঁ জেলার ১১ টি উপজেলায় গবাদি পশু বেচা কেনার ছোট বড় মিলে হাট আছে ৩৯ টি। কোরবানির সময় এসব হাটে ব্যাপক আমদানি হয় বেশীয় গবাদি পশুর পাশাপশি ভারতীয় গরু। পশু কিনতে হাট গুলিতে আসেন দেশের রাজধানীসহ বিভিন্ন বড়বড় হাটের পাইকারী ব্যবসায়ীরা। ঈদের অন্তত্য ১ মাস আগে থেকেই পশু আমদানি আর ক্রেতা বিক্রেতাদের ভিরে সরব হয়ে ওঠে হাটগুলো। জমজমাট বেচা কেনা হয়। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে এবার অধিকাংশ হাটেই ইজারাদাররা ক্রেতা বিক্রেতাদের কাছ থেকে জোড়পূর্বক অতিরিক্ত টোল আদায় করছে।

 
জেলার মান্দা উপজেলার সতীহাট মঙ্গলবার, চৌবাড়িয়াহাট শুক্রবার ও মহাদেবপুর উপজেলার মাতাজি হাট বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি গরুর বিপরীতে ২০০ টাকা নেয়ার কথা থাকলেও ইজারাদারের লোকজন ক্রেতার কাছ থেকে আদায় করছে ৩৫০-৪০০ টাকা। এছাড়া প্রতি ছাগল ও ভেড়া ক্রেতার কাছ থেকে ৭৫ টাকা নেয়ার নিয়ম থাকলেও সেই নিয়ম ভঙ্গ করে আদায় করা হচ্ছে বিক্রির শতকরা ১০ টাকা হরে। এতে একটি ১২ হাজার টাকায় বিক্রিত ভেড়া ছাগলের বিপরিতে টোল আদায় করা হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা। হাটে ক্রেতা ছাড়াও বিক্রেতাদের কাছ থেকে অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে লিখনি ফির নামে ২০ শেতে ৫০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এটিকে ক্রেতা বিক্রেতারা ইজারাদারের চাঁদাবাজি বলে অভিযোগ করেন।

 

জেলার হাট গুলিতে সপ্তাহে কম পক্ষে গরু বেচা কেনা হয় ৬০ হাজার। গরু প্রতি ১৫০ টাকা অতিরিক্ত টোল আদায় করায় অতিরিক্ত ৯০ লাখ টাকা আদায় করছে ইজারাদাররা। আর ছাগল-ভেড়া বেচা কেনা হয় প্রায় ৯০ হাজার। গড়ে প্রতিটি ভেড়া-ছাগলের মূল্য ৮ হাজার টাকা হলে বিক্রয় মূল্য দাঁড়ায় ৭২ কোটি টাকা। যার অতিরিক্ত টোলের পরিমান দাঁড়ায় ৬ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

 

মাতাজি হাটে কোরবানির পশু কিনতে আসা মাহফুজুর রহমান নামে এব ব্যাক্তি অভিযোগ করে সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, কোরবানী ঈদ আসলেই পশু বিক্রয়ের হাট গুলোতে ইজারাদাররা টোল আদায়ের নামে অতিরিক্ত অর্থ হাতাতে চাঁদাবাজিতে নামেন। তাদের দাবীকৃত নিজস্ব নির্ধারিত টাকা দিতে অস্বীকার করলে ঘটে মারপিট ও লাঞ্ছিতের ঘটনা।

 

এদিকে একই অবস্থা জেলার অন্যান্য হাটগুলোর। টোল আদায়ের তালিকা কৌশলে সরিয়ে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত টোল। ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদে বিক্রয় মূল্য উল্লেখ থাকলেও টোল আদায়ের পরিমান উল্লেখ করছে না আদায়কারীরা। এতে জেলার সরকারী ব্যবস্থাপনার ভারমুর্তী ক্ষুন্নসহ অসন্তষ ও চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে।

 

  • এ বিষয়ে মাতাজি হাটের ইজারাদার আরিফুল ইসলাম দিং চাঁবাজির কথা অস্বীকার করে বলেন, বেশি টাকায় হাট ডেকে নেয়া হয়েছে আর সেই টাকা তুলতেই অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে আরো বাড়ানো হতে পারে ইজারার পরিমান।
  • এ বিষটি নিয়ে মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেবুন নাহার এর সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি জানান, জেলার অন্যান্য হাটগুলিতে একই অবস্থা আপনারা সব জায়গা ছেড়ে এখানে এসেছেন কেনো। আমি কথা বলতে আগ্রহী না যারা আগ্রহী আপনি তাদের কাছে যান।

 

এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা প্রশাসক ড. আমিনুর রহমান অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ স্বীকার করে জানান, যে সব ইজারাদার এমন কর্মকান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে তাদের ইজারা বাতিল করা হবে।

স/অ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর