আফগানিস্তানের মাটি যেন সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়স্থল না হয়, সেজন্য তালেবানের ওপরই ভরসা রাখল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
ভারতের সভাপতিত্বে আফগানিস্তান নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পাশ হয়েছে।
এটি দেখিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ওই প্রস্তাবে ভারতের উদ্বেগের ক্ষেত্রগুলোতে নজর রাখা হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার যুক্তি, ওই প্রস্তাবে স্পষ্ট বলা হয়েছে- আফগানিস্তানের মাটি কোনও দেশে সন্ত্রাসবাদী হামলা বা তার পরিকল্পনা, আর্থিক মদত বা সন্ত্রাসবাদীদের প্রশিক্ষণের জন্য কাজে লাগানো যাবে না। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রসঙ্গে লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মুহাম্মদের মতো নিষিদ্ধ সংগঠনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তালেবানের প্রতিশ্রুতির কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ।
প্রশ্ন উঠেছে, এই প্রস্তাবের মাধ্যমে তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথেও কি আন্তর্জাতিক মহল এক কদম এগিয়ে গেল?
এমন প্রশ্নে জাতিসংঘে আমেরিকার দূত লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ডের জবাব, “আমরা এখনও তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়ার জায়গায় যাইনি। ওরা এখনও সরকার গঠন করেনি। ওরা কী ধরনের সরকার গঠন করে, তা দেখতে হবে।”
তার বক্তব্য, তালেবানের সরকারে যাতে মহিলা-সহ সকলের প্রতিনিধিত্ব থাকে, আফগান সংখ্যালঘুদের বিষয়টি বিবেচনা করা হয়, তার ওপরে জোর দেওয়া হবে।
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন