পাঁচ বছর আগে গোপন গোয়েন্দা চুক্তি করে চীন ও সুইজারল্যান্ড। এ চুক্তির আওতায় চীনের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নিজ দেশে ও সমগ্র ইউরোপে মুক্তভাবে চলাচলের অনুমতি দিয়েছিল সুইজারল্যান্ডে। চলতি সপ্তাহে এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবার মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান সেফগার্ড ডিফেন্ডার্স জানিয়েছে দেশ দুটি আবার এই চুক্তি নবায়ন করতে যাচ্ছে। হং কং, ম্যাকাওসহ আরও ৫২টি দেশের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের একই ধরণের চুক্তি রয়েছে।
সেফগার্ড ডিফেন্ডার্সের আশঙ্কা, চীনের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারটি ভিন্ন। কারণ, এর ফলে চীনের অভিবাসন কর্মকর্তাদের বদলে জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয়কে বেশি ক্ষমতা প্রদান করা হচ্ছে। এসব কর্মকর্তা অবৈধ অভিবাসনের পাশাপাশি অনিয়মিত অভিবাসনও তদন্ত করতে পারেন। চুক্তি অনুসারে চীনের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সুইজারল্যান্ডে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারবেন এবং সুইজারল্যান্ড বা ইউরোপের অন্য কোনো দেশে অবৈধভাবে থাকা চীনা নাগরিকদের চীনে ফেরত নিয়ে যেতে পারবেন।
সুইস পত্রিকা জেজে আম সনট্যাগ আগস্টে এক প্রতিবেদনে জানায়, চীন ও সুইজারল্যান্ডের চুক্তিটি ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত হয়। তবে দেশটির জনগণের কাছে প্রকাশ করা হয়নি। এমনকি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে জানতো না। সুইজারল্যান্ডের অভিবাসন বিষয়ক সচিবালয়ের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি লিঙ্ক থাকলেও সেখানে কোনো নথি পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে অভিবাসন বিষয়ক সচিবালয়ের মুখপাত্র লুকাস রিডার বলেন, অনুরোধের ভিত্তিতে আমরা পূর্ণ নথি পাঠাই। তবে ঝুঁকিতে আছেন অথবা নির্যাতনের শিকার হতে পারেন এমন কারোর তথ্য চীনা কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয় না।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ