করোনাকে ফাঁদ পেতে মারা সম্ভব!

করোনাভাইরাসকে কি এবার ফাঁদে ফেলা যাবে মানবশরীরের মধ্যেই? ভাইরাসটির খুব পছন্দের জায়গা আমাদের ফুসফুসেই পাতা যাবে সেই ফাঁদ-এমনটাই দাবি করলেন এক দল চীনা গবেষক। জানালেন, তারা পলিমারের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা (ন্যানো পার্টিকলস) দিয়ে কৃত্রিমভাবে ফুসফুসের এমন কোষ বানিয়েছেন, যা আদতে জীবন্ত কোষ নয়। কভিডের ফাঁদ। সেই ফাঁদের ভেতর ঢুকে পড়লে ভাইরাসটি আর বেঁচে থাকার রসদ পাবে না। মরে যাবে।

সম্প্রতি এসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী ন্যানো লেটার্সে।

তবে গবেষণাটি করা হয়েছে শুধুই গবেষণাগারে। ইঁদুরের মতো প্রাণী বা মানুষের ওপর এখনো তা প্রয়োগ করে দেখা হয়নি। গত ছয় মাসের গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে ঢোকার পর ফুসফুসই সবচেয়ে পছন্দের জায়গা সার্স-কভ-২ ভাইরাসের। মানবদেহের একটি প্রোটিন তাকে ফুসফুসের কোষের গায়ে সেঁটে থাকতে সাহায্য করে। তারই সাহায্য নিয়ে ভাইরাসটি আমাদের ফুসফুসের কোষের মধ্যে ঢোকে। তারপর দ্রুত বংশবৃদ্ধি ঘটায়। একটি কোষে তাদের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেলে তারা সেই কোষের প্রাচীর ফাটিয়ে বেরিয়ে এসে ফুসফুসের অন্য কোষগুলোকেও একইভাবে আক্রমণ করে।

গবেষকরা গবেষণাগারে দেখতে চেয়েছিলেন পলিমারের ন্যানো পার্টিকলকে ফুসফুসের কোষের মতো ব্যবহার করলে সার্স-কভ-২কে আমাদের শরীরের মধ্যে ধোঁকা দেওয়া যাচ্ছে কি না। তারা সেই পলিমারের ন্যানো পার্টিকলকে ফুসফুসের জীবন্ত কোষ বলে মনে করছে কি না। গবেষকরা দেখেছেন, ভাইরাসটি ধোঁকা খাচ্ছে। ফাঁদে পড়ছে। আর তার পর বাঁচার রসদ জোগাতে না পেরে মরে যাচ্ছে।

এটা দেখতে গিয়ে গবেষকরা পলিমারের ন্যানো পার্টিকলের ওপর ফুসফুসের বা দেহের প্রতিরোধী ব্যবস্থার জীবন্ত কোষের একটি আস্তরণ দিয়ে দিয়েছিলেন।

গবেষকরা দেখেছেন, পলিমারের বাইরে থাকা ফুসফুসের কোষের আস্তরণ দেখেই তা পছন্দ হচ্ছে ভাইরাসটির।