শুক্রবার , ১১ আগস্ট ২০১৭ | ২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

পুঠিয়া প্রসুতির মৃত্যু: আত্মগোপনে ক্লিনিক পরিচালক মুনসুর রহমান

Paris
আগস্ট ১১, ২০১৭ ১২:১০ অপরাহ্ণ

পুঠিয়া প্রতিবেদক: আজ তিন দিন ধরে আল-মাহাদী ইসলামী হাসপাতালের পরিচালক মুনসুর রহমান নিরুদ্দেশ হয়ে আছেন। গত ৯ আগষ্ট বুধবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় তিনিসহ ক্লিনিকের ডাক্তার ও কর্মচারি মিলে ক্লিনিকের অপারেশন টেবিলে গর্ভের নবজাতকসহ প্রসুতিকে ভুল চিকিৎসা দিয়ে হত্যা করে কৌশলে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

রাজশাহীর পুঠিয়া সদরে অবস্থিত বেসরকারী ক্লিনিক আল-মাহাদী ইসলামি হাসপাতালের পরিচালক মুনসুর রহমান ক্লিনিকটির প্রতিষ্ঠাতা মীর শমসের রহমানের ছেলে।

আজ তিন দিন তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। জানা যায়, গত ৯ আগষ্ট বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আল-মাহাদী ইসলামী হাসপাতল নামের ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় গর্ভের নবজাতকসহ পান্না বেগম নামের এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। মৃত পান্না বেগম (২৮) উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের ধোপাপাড়া গ্রামের দিনমুজুর আলম সরদারের স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে মুনসুর রহমান সহ ক্লিনিকের কর্মচারীরা পলাতক রয়েছেন।

মৃতের স্বামী আলম সরদার জানান, ঘটনার দিন তার স্ত্রীর প্রসবযন্ত্রনা উঠলে ক্লিনিকের মননীত একজন দালালের মাধ্যমে আল-মাহাদী ইসলামী হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে ক্লিনিকের পরিচালক মুনসুর রহমান রুগীকে দেখে দ্রুত সিজারিয়ান অপারেশন করাতে হবে বলে তাগিদ দেন।

তিনি আরো জানান, অপারেশনে রাজী হলে মুনসুর রহমান নিজেই একজনকে সঙ্গে নিয়ে পান্না বেগমকে অপারেশন টেবিলে নিয়ে যায়। দীর্ঘসময় অতিবাহীত হলেও করো সারাশব্দ না পেয়ে রুগীর স্বজনদের সন্দেহ হয়। পরে অপারেশন কক্ষে তালা ঝুলানো দেখে স্থানীয়দের সহযোগীতায় রুগীর স্বজনরা ওই কক্ষে প্রবেশ করে দেখে অপারেশন টেবিলে পান্না বেগমের লাশ ফেলে ক্লিনিকের তথাকথিত ডাক্তার ও পরিচালক মুনসুর রহমানসহ সবাই পালিয়েছে। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে ক্লিনিকে কর্মরত নার্স মারুফা খাতুনকে আটক করে। এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ নাজমা নাহার পরিদর্শন করে অব্যবস্থাপনা দেখে ক্লিনিকটি সিলগালা করেন।

পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান ভূইয়া পিপিএম জানান, ঘটনার দিন রাতেই মৃতের স্বামী বাদী হয়ে ক্লিনিক মালিক তথাকথিত ভুয়া ডাক্তারসহ ৭ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন এবং আটককৃত নার্সকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।

এদিকে মৃতের স্বামী আলম সরদার বলেন, ভুল চিকিৎসা দিয়ে যারা গর্ভের নবজাতকসহ তার স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়েছে। তাদের সবার কঠিন শাস্তি বাদী করেন তিনি।

 

স/আ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর