ইবি ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে চায় কারা!

আশিক বনি:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে অস্থিতিশীল করতে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ উঠে পড়ে লেগেছে। ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৩-১৪ (মাস্টার্স) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শিশির ইসলাম বাবু পদ না পাওয়া ছাত্রলীগ নেতাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে।

এক সময় ক্যাম্পাসের ত্রাস ছিল এই শিশির ইসলাম বাবু। ক্যম্পাসে অস্ত্রের মহড়া, ভর্তি বাণিজ্য ও হল ডাইনিং এ টাকা না দিয়ে খাওয়া, সাধারণ শিক্ষার্থীদের দলীয় প্রভাবে মারধরসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে ছাত্রলীগের সাবেক এ নেতার বিরেুদ্ধে।

কয়েকবছর আগে প্রশাসন ভবনের সামনে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এক শিক্ষার্থীর পায়ে আগ্নেয়অস্ত্র দিয়ে গুলি করেছিল সে। এছাড়াও তার এক আত্মীয়কে অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তি করতে অন্ত্র ধরে তার আগের তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীর সকল কাগজ-পত্র কেড়ে নিয়ে সেই আত্মীয়কে ভর্তি করে শিশির ইসলাম বাবু।

এর পেছনে আরো ইন্ধনদাতা হিসেবে কাজ করছে ফয়সাল সিদ্দীকি আরাফাত ও মিজানুর রহমান লালন। গত বছরের ২২ জানুয়ারি নেশা করে ছাত্রীদের উত্যক্ত করার অভিযোগে এক বহিরাগতসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করে ইবি থানা পুলিশ। আটককৃতদের থানায় নেওয়ার পথে পুলিশের কাছ থেকে দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ছিনিয়ে নেয় মন্দির ভাংচুরের ঘটনায় বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত।

মিজানুর রহমান লালনকে নিজ এলাকায় বিভিন্ন অপকর্মের জন্য কেও মূল্যায়ন করেনা। এলাকার মানুষের সাথে অন্ত:কোন্দলের কারনে নিজ এলাকায় ভোটার হতে পারেনি ও তার জাতীয় পরিচয় পত্র পর্যন্ত নিজ এলাকা থেকে সংগ্রহ করতে পারেনি সে।

এতো অভিযোগের পরেও তারা শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান পলাশ-রাকিব কমিটিকে মেনে না নিয়ে ক্যম্পাসে তাদেরকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে মিছিল করে পদ না পাওয়া ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা। বর্তমান কমিটি আসার পর স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতারা তাদের মেনে নিতে পারেনি বরং ক্যম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যু তৈরী করছে তারা।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আল নাহিয়ান খান জয় এ প্রতিবেদককে বলেন, ছাত্রলীগের অনুমোদিত কমিটির বিরুদ্ধে যে কোন ব্যাবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় কমিটি। কোন কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে একটি নির্দৃষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রমানসহ আমাদের জানাতে হবে এবং আমরা তদন্ত সাপেক্ষে সে আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কোন বিশৃংখলা সৃষ্টি করার অধিকার কোন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীকে দেওয়া হয়নি।