শুক্রবার , ৩০ আগস্ট ২০২৪ | ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

আওয়ামী লীগ নেতা পান্নার লাশ নিয়ে এবার নতুন তথ্য দিল ভারতীয় পুলিশ

Paris
আগস্ট ৩০, ২০২৪ ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়েছেন। এর পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। তাদের মধ্যে একজন হলেন ইশতিয়াক আলী খান পান্না। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ভারত পালিয়ে যাওয়ার সময় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তিনি। ভারতের মেঘালয় থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) মেঘালয় পুলিশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এনডিটিভির।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মেঘালয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের অদূরে পান্নার লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট থেকে বোঝা যায়, পান্নাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। কাছে থাকা পাসপোর্ট দেখে তার পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ।

বলা হচ্ছে, ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন ইসহাক আলী খান পান্না।

মেঘালয় পুলিশ বলেছে, গত ২৬ আগস্ট পূর্ব জৈন্তার পাহাড়ি গ্রাম ভোই থেকে পান্নার পচা অর্ধ-গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই গ্রামটি ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পান্নার মরদেহের সঙ্গে বাংলাদেশের পাসপোর্ট পাওয়া গেছে।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, পান্নার দেহটি ফরেকসিক বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হচ্ছে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা নাকি হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে তা তদন্তের জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার কপালেও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের ১৯৯৪ সালের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন পান্না। ওই সম্মেলনে নির্বাচিত সভাপতি একেএম এনামুল হক শামীম পর্যায়ক্রমে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং একাধিকবার এমপি ও আওয়ামী লীগ সরকারের উপমন্ত্রী হলেও পান্না বরাবরই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বাইরে ছিলেন। তবে ২০১২ সালের সম্মেলনের পর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক এবং পরে বিভিন্ন উপ-কমিটির সদস্য হয়েছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগপর্যন্ত ছিলেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে পিরোজপুর-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান পান্না। অবশ্য পরে ১৪ দলীয় জোটগত নির্বাচনের কারণে সরে যেতে হয় তাকে। পেশাগত জীবনে বীমা কোম্পানি ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ছিলেন সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা।

 

সূত্র: যুগান্তর

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক