শনিবার , ১ এপ্রিল ২০১৭ | ২রা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বিক্ষোভের আগুনে পুড়ল প্যারাগুয়ের পার্লামেন্ট

Paris
এপ্রিল ১, ২০১৭ ১০:২৪ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বিক্ষোভকারীদের আগুনে পুড়ল প্যারাগুয়ের পার্লামেন্ট (কংগ্রেস)।

দেশটির প্রেসিডেন্টের পুননির্বাচনসংক্রান্ত একটি বিল নিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বিরোধীরা। স্থানীয় সময় শুক্রবার কংগ্রেস ভবন ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।

কংগ্রেস ভবনের সীমানা প্রাচীর  ও জানালা ভেঙে ফেলে বিক্ষোভকারীরা। প্রেসিডেন্টের পুননির্বাচনের বিল বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে তারা।

বিবিসি অনলাইনের এক খবরে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দীর্ঘ ৩৫ বছরের স্বৈরশাসনের পর ১৯৯২ সালে দেশটিতে সাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, কেউ পাঁচ বছর মেয়াদি একবারের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে পারবে না। ফলে একবার যিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন, তার দ্বিতীয়বার এ পদে দাঁড়ানোর কোনো সুযোগই নেই।

কিন্তু ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট হরাকশিও কার্টেস সংবিধানিক এই বাধা দূর করে আবারও নির্বাচনে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করছেন।
আসানসিওনে কংগ্রেস ভবনের পাশে ব্যারিকেডে শুক্রবার রাতে বিক্ষোভকারীদের আগুন লাগাতে দেখা যায়। এ-সংক্রান্ত ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে।

বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা কংগ্রেস ভবনে ঢুকে যারা বিলের পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন তাদের অফিস তছনছ করে এবং কিছু নথিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও জনকামান ব্যবহার করে।

এর আগে সিনেটররা সংবিধান সংশোধনের বিল অনুমোদন করায় এর প্রতিবাদে রাস্তায় জড়ো হয় জনগণ। তবে এই বিল পাস হওয়ার আগে পার্লামেন্টের আরেক কক্ষ হাউস অব ডেপুটিসে অনুমোদিত হতে হবে। হাউস অব ডেপুটিসে প্রেসিডেন্ট কার্টেসের দল সংখ্যাগরিষ্ঠ।

চেম্বার প্রেসিডেন্ট হুগো ভøাজকুয়েজ জানিয়েছেন, শনিবার কোনো আলোচনা হবে না এবং কোনো সিদ্ধান্তও নেওয়া হবে না। বিক্ষোভকারীদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বিরোধীদের দাবি, এই বিল পাস হলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়বে।

১৯৫৪ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা স্বৈরশাসক জেনারেল আলফ্রেডো স্ট্রোয়েসনার ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত দেশটি একহাতে শাসন করেন। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ১৯৯২ সালে প্যারাগুয়েতে সাংবিধানিক সরকার ব্যবস্থা চালু হয়। তবে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও দলীয় কোন্দল এখনো দেশটির প্রধান সমস্যা।

প্রেসিডেন্ট কার্টেসের শাসনামল শেষ হওয়ার কথা ২০১৮ সালে।

সূত্র: রাইজিংবিডি

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক