সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
সংস্কারের নামে মানুষকে ধৈর্যহারা না করার আহবান জানিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা সমর্থন দিয়েছি। আপনারা সংস্কার করেন, আমরা সমর্থন দিয়েছি। কিন্তু এমন সময় নেবেন না, যাতে মানুষ ধৈর্যহারা হয়। মানুষের ধৈর্য থাকতে থাকতে নির্বাচন দেওয়ার তাগিদ দেন শামসুজ্জামান দুদু।
রোববার দুপুরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা বিএনপি আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, মওলানা ভাসানী ছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে শ্রদ্ধার এবং সম্মানের। তাকে চিনেছিলেন শহিদ জিয়াউর রহমান। তাকে চিনেছিলেন বলেই শহিদ জিয়াউর রহমান তার আদর্শ গ্রহণ করেছেন। আমাদের নেতা শহিদ জিয়াউর রহমান কৃষকদের কাছে গিয়ে কৃষকের কথা শুনতেন। যেমন শুনতেন মওলানা ভাসানী।
তিনি আরও বলেন, আগামী দিন হচ্ছে বিএনপির দিন। যারা এ দেশটাকে ১৬-১৭ বছর ধরে লুটেপুটে খেয়েছেন আর মানুষের ওপর জুলুম করেছেন, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার দিন।
শেখ হাসিনা সম্পর্কে বিএনপির এই নেতা বলেন, এখন কেউ কেউ বলছেন হঠাৎ করে তিনি ঢুকে পড়বেন। আমরাও তো চাই- আসেন, ঢুকে পড়েন। বিএনপির নেতাকর্মীরা জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু ভাইকে আপনি জেলে রেখেছেন, তার কৈফিয়ত আপনাকে দিতে হবে।
শামসুজ্জামান দুদু প্রশ্ন তুলে বলেন, বিএনপি করা কি অপরাধ? আমাদের অনেক নেতাকর্মী এখনও জেলখানায়। বিএনপির যারা বাইরে আছে ৬০ লাখ আসামি বিএনপির। দুই থেকে আড়াই লাখ মামলা। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করি। তাই আমরা অনুরোধ করব, যারা গণতন্ত্রের জন্য মামলার মুখোমুখি হয়েছে, তাদের মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেবেন।
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, সংস্কার করেন, আমরা সমর্থন দিয়েছি। কিন্তু এমন সময় নেবেন না, যাতে মানুষের অস্বস্তি হয়। ধৈর্য থাকতে থাকতে কাজটা শেষ করার উদ্যোগ নেবেন, এটা আমরা প্রত্যাশা করি।
এ সময় কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতানা সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির চেয়ারম্যান পার্সনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ওবায়দুল হক নাসির, জেলা বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হামিদুল হক মোহন, জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামান শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, শহর বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান আলীমসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: যুগান্তর