রবিবার , ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

‘৮ হাজার কোটির বাজার শঙ্কায়’

Paris
নভেম্বর ১৭, ২০২৪ ১০:২৩ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

‘৮ হাজার কোটির বাজার শঙ্কায়’ দেশ রূপান্তর পত্রিকার শিরোনাম।

এই খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সিরামিক শিল্পের বাজার ধীরে ধীরে বাড়ছে।

দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানির হিস্যা বাড়ছে বাংলাদেশের। কাঁচামাল আমদানি নির্ভর এ শিল্পে চলমান গ্যাস, বিদ্যুৎ সংকটের পাশাপাশি যোগ হয়েছে ঋণপত্র খোলার জটিলতাও। এতে শিল্প খাতটির উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) অক্টোবরে আগের বছরের তুলনায় সিরামিক পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে ৩০ শতাংশ।

এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সিরামিক রপ্তানি হয়েছিল তিন কোটি ৩১ লাখ ডলারের।

এবার চার মাসে রপ্তানি হয়েছে এক কোটি ২৪ লাখ ডলারের বেশি। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এটি ছয় দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ বেশি।

চলতি বছরের অক্টোবরে সিরামিক পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৩৫ লাখ ৭০ হাজার ডলারের।

আগের বছরের একই মাসে রপ্তানি আয় ছিল ২৭ লাখ ৪০ হাজার ডলারের। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৩০ দশমিক ২৯ শতাংশ।

‘রাষ্ট্র সংস্কারে সবাই সরব’ সমকাল পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম। সরকারের গঠিত সংস্কার কমিশনের সামনে নাগরিক সমাজের তরফ থেকে দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন পরামর্শ।

এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সংস্কার ইস্যুতে বিভিন্ন সভা, সেমিনার ও আলোচনায় সংবিধান, আর্থিক খাত ও নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে নানা মতামত এ সংবাদটিতে তুলে ধরা হয়েছে।

পুনর্লিখন নয়, জন আকাঙ্খার ভিত্তিতে রাজনৈতিক ঐক্যমত্যের মাধ্যমে সংবিধান সংস্কার করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে নির্বাচন পদ্ধতি, বিচার বিভাগ, স্থানীয় সরকার এবং রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় কাঠামোগত সংস্কারকে গুরুত্ব দিতে হবে।

তবে সেটিও হতে হবে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে। এ জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত না হলে গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করা যাবে না।

‘সংবিধানের খসড়া প্রস্তাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বিভিন্ন শ্রেণি- পেশার প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেন।

আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার বিষয়ক একটি সভায় অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, বিগত সরকারের সময়ে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। দেশে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ছিল না। আর্থিক খাতে এত বড় ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে যে বাইরে থেকে তা কল্পনাও করা যাবে না।

এত অনিয়ম, এত বিশৃঙ্খলা, এত দুর্নীতি পৃথিবীর আর কোথাও হয় নি। তবে আশাহত হওয়া যাবে না। আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে অন্তর্বর্তী সরকার স্বল্পমেয়াদি সংস্কারে জোর দিয়েছে।

মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের একটা রাস্তা তৈরি করা যাবে। পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার এসে তা করবে। রাজনৈতিক সরকার চাইলেও সংস্কার একেবারে বাদ দিতে পারবে না। ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে বাদ দিতে গেলে জনগণের চাপে পড়বে বলে বলেছেন অর্থ উপদেষ্টা।

টেকসই পদ্ধতির পথ খুঁজছে সংস্কার কমিশন জানান নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার।

তিনি বলেন, শুধু আগামী নির্বাচনের কথা চিন্তা করছি না, দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের পথ খুঁজছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। অতীতে অনেক অন্যায়-অপকর্ম হয়েছে। এগুলো যাতে ভবিষ্যতে বন্ধ হয়, নির্বাচন ব্যবস্থা যাতে গণতান্ত্রিক, শক্তিশালী ও কার্যকর হয় সেই ব্যবস্থা করব।

‘ড. ইউনূসের উচিত নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা’ মানবজমিন পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম।

বিপ্লবের পর বাংলাদেশ স্থিতিশীল: ইকোনমিস্টের রিপোর্ট এ সংবাদটিতে তুলে ধরা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, অনেক সময় বিপ্লব খারাপভাবে শেষ হয়। আগস্টে ছাত্রদের নেতৃত্বে ক্ষমতা থেকে উৎখাত হয়েছেন বাংলাদেশের স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা।

তারপর দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়েছেন ক্ষুদ্রঋণের প্রবর্তক ও শান্তিতে নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

পুলিশকে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ও হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তিনি ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় এসব পুলিশকে ত্যাগ করে যান।

তারপর বেশির ভাগ পুলিশই তাদের দায়িত্বে ফিরেছেন। বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনীতি, রাষ্ট্রব্যবস্থা, নির্বাচন ইত্যাদি ইস্যুতে এক প্রতিবেদনে এসব কথা লিখেছে লন্ডনের বিখ্যাত দ্য ইকোনমিস্ট ম্যাগাজিন।

সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অর্থনীতি এখন আর অবাধে পতনের মুখে নেই। জাতীয় প্রবৃদ্ধির শতকরা ৫ ভাগই রেমিট্যান্স। তা স্থিতিশীল হয়েছে। তা সত্ত্বেও সামনে বিশাল চ্যালেঞ্জ।

এসব চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবিলা করা হবে তা শুধু ১৭ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার মানুষের ওপরই প্রভাব ফেলবে এমন নয়।

একই সঙ্গে তার প্রতিবেশীরা প্রভাবিত হবে। ভারত, চীন এবং পশ্চিমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতায়ও এর প্রভাব পড়বে।

এই খবরে বলা হয়েছে, ড. ইউনূস এমন একটি সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অনুমোদন করে এমন একটি সাংবিধানিক ধারাকে ২০১১ সালে বাতিল করে দেন শেখ হাসিনা।

সুতরাং ড. ইউনূসের বৈধতা নির্ভর করে তার নৈতিক কর্তৃত্ব ও জনপ্রিয়তার ওপর। এর ভিত্তি ঝুঁকিপূর্ণ। কোনো ভোটে এর সমর্থন আদায় করা হয়নি।

‘ইসরাইলপন্থীদের আধিক্য ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায়, অসন্তুষ্ট মুসলিম ভোটাররা’ নয়া দিগন্ত পত্রিকার শিরোনাম।

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার সদস্য বাছাই নিয়ে হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুসলিম নেতারা।

গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ ও লেবাননের ওপর হামলায় বাইডেন প্রশাসনের সমর্থনের প্রতিবাদে রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন করেছিলেন এই মুসলিম নেতারা।

কিন্তু ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভা পদের জন্য বাছাই করা ব্যক্তিদের দেখে গভীরভাবে হতাশ হয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তারা। রয়টার্সের বরাতে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে।

ফিলাডেলফিয়ার বিনিয়োগকারী রাবিউল চৌধুরী। পেনসিলভানিয়ায় ‘কমলা হ্যারিসকে ত্যাগ কর’ প্রচারের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।

সেই সাথে ‘মুসলিমস ফর ট্রাম্প’ প্রতিষ্ঠা করেন।

তিনি বলেছেন, ‘ট্রাম্প আমাদের কারণে জিতেছেন। কিন্তু আমরা তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে বাছাই করা ব্যক্তি ও অন্যদের নিয়ে সন্তুষ্ট নই।’

কৌশলবিদরা মনে করেন, ট্রাম্পের প্রতি মুসলিমদের সমর্থন তাকে মিশিগান রাজ্যে জিততে সাহায্য করেছিল। এ ছাড়া অন্য দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতেও ট্রাম্পের জয়ে তারা ভূমিকা রেখেছেন।

ট্রাম্প রিপাবলিকান সিনেটর ও ইসরাইলের কট্টর সমর্থক মার্কো রুবিওকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে নিয়োগ দিয়েছেন।

চলতি বছরের শুরুতে রুবিও গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে তিনি বিশ্বাস করেন ইসরাইলকে হামাসের ‘প্রত্যেকটি উপাদান’ ধ্বংস করা উচিত।

তিনি হামাসকে ‘নিষ্ঠুর প্রাণী’ বলে উল্লেখ করেছেন।

‘ট্রাম্পের প্রভাব পড়বে দক্ষিণ এশিয়ায়’ কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরো উষ্ণ সম্পর্কের প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়ায়।

শনিবার ঢাকার একটি হোটেলে বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন (বিওবিসি) সম্মেলনের এক আলোচনায় বিশ্লেষকরা এ ধরনের মন্তব্য করেন।

আলোচনার বিষয় ছিল ‘স্রোতের পরিবর্তন : দক্ষিণ এশিয়া ও গ্লোবাল সাউথে ট্রাম্পের আমেরিকার প্রভাব’।

সঞ্চালনা করেন টাইম ম্যাগাজিনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক চার্লি ক্যাম্পবেল।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্লেষক ক্রিস্টিন সি ফেয়ার বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসন কর্তৃত্ববাদী হবে। ট্রাম্প যা বলেছেন, তাতে সম্পর্ক অনেক বদলাবে। এই অঞ্চলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গুরুত্ব পাবে”।

ক্রিস্টিন ফেয়ার আরো বলেন, ‘ট্রাম্পের এবারের নিয়োগগুলোর মধ্যে কেবল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে নিয়োগকে যথার্থ মনে হয়েছে। ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলো হয়তো ট্রাম্পের সরাসরি রাডারের বাইরে থাকবে”।

‘জনবিমুখ নীতি থেকে সরে জনমুখী অর্থনীতির দিকে যাত্রা শুরু হয় নি’ বণিক বার্তা পত্রিকার শিরোনাম।

রাষ্ট্রের নাগরিকদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, সুরক্ষা, মৌলিক সেবার নিশ্চয়তা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সর্বোপরি বৈষম্য প্রশমনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রণীত বাজেটগুলো পরিচিত জনকল্যাণমুখী বাজেট হিসেবে।

বাংলাদেশের মানুষ জনকল্যাণমুখী বাজেট থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে বহু বছর ধরে। এখানে বাজেট মানেই উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের নামে জনগণের অর্থের যথেচ্ছ তছরুপ।

সর্বশেষ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটটিও এর ব্যতিক্রম নয়। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের ফলে গণবিরোধী এ বাজেট কাঠামো পরিবর্তনের সুযোগ ছিল।

যদিও অভ্যুত্থানের ১০০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা সরকারের দেয়া বাজেটই বহাল রয়েছে।

একইভাবে বহাল রয়েছে বিগত সরকারের গৃহীত রাজস্ব ও মুদ্রানীতিও।

কিছু জায়গায় ব্যক্তির পরিবর্তন হলেও অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে দেশের অর্থনীতির দর্শন ও ব্যবস্থাপনায় কোনো পরিবর্তন হতে দেখা যায়নি। বরং বৈষম্য বিলোপের ডাক দিয়ে একটি অভ্যুত্থান সফল হলেও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় তা দূর করার কোনো উদ্যোগ এখনো নেয়া হয়নি।

‘প্রশাসন হয়ে গিয়েছিল লুটেরাদের সহযোগী’ প্রথম আলো পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম।

ছাত্রুজনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে জনপ্রশাসন আর জনপ্রশাসন ছিল না। সেটি পরিণত হয়েছিল লুটেরাদের সহযোগীতে।

এই স্বীকারোক্তি জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদেরই। তারা বলছেন, এখন প্রশাসনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে। জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারা যাতে রাজনৈতিক কর্মীদের মতো আচরণ করতে না পারেন, সেটা আচরণবিধির বাস্তব প্রয়োগের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘প্রশাসনিক সংস্কার ও উন্নয়ন: বর্তমান প্রেক্ষিত ও ভবিষ্যৎ ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারা এসব কথা বলেন।

এটি প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন। শনিবার বিকেলে রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

আওয়ামী লীগ সরকার টানা চার মেয়াদে তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন করেছে।

জনপ্রশাসনকে হাতে রাখতে দলীয়করণ, গাড়ি-বাড়ি কিনতে ঋণসুবিধা, ইচ্ছেমতো পদোন্নতি দেওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জনপ্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কেউ কেউ নানা কর্মকাণ্ডে বিতর্কিত হয়েছিলেন। সংগঠনটিও কিছু কিছু বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছিল।

This civilisation failed us, let’s build a new one’ The Daily Star  পত্রিকার এই শিরোনামের অর্থ ‘এই সভ্যতা আমাদের ব্যর্থ করেছে, চলুন নতুন একটি সভ্যতা তৈরি করা যাক’।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস শনিবার এমন একটি অর্থনীতি গঠনের উপর জোর দিয়েছেন যাতে প্রত্যেকে প্রযুক্তি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফল সমানভাবে ভাগ করে নিতে পারে।

সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ আয়োজিত ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন” এর তৃতীয় সংস্করণের উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আসুন আমরা একে অপরকে চ্যালেঞ্জ জানাই, একে অপরকে শুনি, এবং একটি নতুন জীবনযাত্রার সাথে একটি নতুন জগৎ কল্পনা করার সাহস করি যা কিনা পরিবেশগতভাবে নিরাপদ গ্রহের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ”।

“এবং (আসুন) এমন একটি অর্থনীতি গড়ে তুলুন যেখানে প্রযুক্তি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুযোগ সবাই সমানভাবে ভাগ করে নেয়, একচেটিয়াভাবে গুটিকয়েক নয়”।

নোবেল শান্তি বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস তার বক্তব্যে বলেছেন, তিনি সর্বদা আইডিয়া এবং কল্পনার শক্তিতে বিশ্বাসী।

“আমরা যদি একসাথে কল্পনা করতে পারি, তবে তা অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে। চলুন এটা করা যাক”।

জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর প্রভাবগুলো সমাধান করার জন্য যৌথ প্রচেষ্টাও প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

“আমাদের অঞ্চলটি জলবায়ু পরিবর্তনের অগ্রভাগে রয়েছে। প্রতি বছর আমাদের উপকূলীয় সম্প্রদায় পানি বৃদ্ধি এবং আবহাওয়ার প্যাটার্ন পরিবর্তনের মুখোমুখি হয় যা মানুষের জীবন, বাড়িঘর এবং জীবিকা নির্বাহকে প্রভাবিত করছে” বলেন অধ্যাপক ইউনূস।

FDI hits decade low in FY23-24’ NEWAGE পত্রিকার প্রথম পাতার এই শিরোনামের অর্থ ‘এ দশকের সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ কম ২০২৩-২৪ অর্থবছরে’।

অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ দেশে এক দশকের মধ্যে বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের প্রবাহ নিচে নেমে গেছে। নেতিবাচক ক্রেডিট রেটিং, ডলারের ঘাটতি, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, অদক্ষ আমলাতন্ত্র এবং দুর্নীতির কারণে।

তারা আরও বলছেন যে পাঁচই অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে ক্ষমতা গ্রহণকারী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস জয় এবং ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের ব্লক থেকে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের প্রবাহকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি কঠিন কাজের মুখোমুখি হয়েছে।

অর্থনীতিবিদরা বৈদেশিক বিনিয়োগের প্রবাহ কমে যাওয়া রোধে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোর আরও গতিশীলতা প্রত্যাশা করছেন।

 

সূত্র: বিবিসি বাংলা