সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ (ফমেক) হাসপাতালের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের ব্লাড ব্যাংকে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে ডোনারের রক্ত থেকে সরাসরি প্লাটিলেট সংগ্রহ কার্যক্রম। আধুনিক এ পদ্ধতিতে একজন ডোনারের শরীর থেকে সরাসরি রক্ত না নিয়ে আধুনিক মেশিনের সাহায্যে শুধুমাত্র প্লাটিলেট সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। রক্তের বাকি উপাদানগুলো ডোনারের শরীরে ফিরিয়ে দেওয়ায় ডোনারের কোনো সমস্যা হয় না।
এ প্রক্রিয়ায় চার থেকে ৬ জন ডোনারের পরিবর্তে মাত্র একজন ডোনার হলেই পর্যাপ্ত পরিমাণ প্লাটিলেট সংগ্রহ করা সম্ভব; যা একজন রোগীর জন্য যথেষ্ট। বৃহত্তর ফরিদপুরের মধ্যে এটাই প্রথম এফেটিসিস পদ্ধতিতে রক্তের প্লাটিলেট সংগ্রহের প্রক্রিয়া। অনেক কম খরচে এবং সহজ পদ্ধতিতে, উন্নতমানের মেডিকেল ইকুইপমেন্টের সহায়তায় সম্পন্ন করা হয় এটি।
কলেজছাত্র নিলয় বিশ্বাস (১৮) ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে ডোনার হিসেবে প্লাটিলেট প্রদান করেন। বুধবার রাতে তার রক্তের প্লাটিলেট দেওয়ার পর তিনি জানান, এতে তার কোনো কষ্ট হয়নি, তিনি সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন। রক্তের প্লাটিলেট দিতে পেরে তিনি খুশি।
সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধান ডা. সুশান্ত কুমার বসাক বলেন, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ব্লাড থেকে প্লাটিলেট আলাদা করে একজন রোগীর শরীরে দিতে গেলে কমপক্ষে ৪ থেকে ৬ জন ডোনার প্রয়োজন হয়। আধুনিক এ পদ্ধতিতে একজন ডোনারের কাছ থেকেই সেই পরিমাণ প্লাটিলেট পাই।
তিনি বলেন, একজন ডোনারের কাছ থেকে যে পরিমাণ প্লাটি পাওয়া যায়, তা একজন রোগীর জন্য পর্যাপ্ত।
ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের প্রধান আরও জানান, যে মেশিন দিয়ে ডোনারের শরীর থেকে রক্ত নিয়ে প্লাটিলেট আলাদা করে বাকি উপাদানগুলো ডোনারের শরীরে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেটি প্রথমবারের মতো ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপন করা হয়েছে। এটি এ অঞ্চলের রোগীদের জন্য একটি সুখবর। কারণ এজন্য আর তাদের ঢাকা বা দেশের বাইরে ছোটাছুটি করতে হবে না। এখন থেকে বৃহত্তর ফরিদপুর ও আশপাশের রোগীরা এ সেবা সুলভে সহজেই নিতে পারবেন।
সূত্র: যুগান্তর