সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা দুটি হারের পর ঘুরে দাঁড়ালো বায়ার্ন মিউনিখ। দ্বিতীয়ার্ধে জামাল মুসিয়ালার হেডে বেনফিকাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে জার্মানরা।
পুরো ম্যাচে আধিপত্য দেখিয়ে কয়েকবার সুযোগ তৈরি করেও গোলমুখ খুলতে পারেনি বায়ার্ন। অবশেষে ৬৭তম মিনিটে জার্মান মিডফিল্ডার মুসিয়ালার বুলেট হেড গড়ে দেয় পার্থক্য।
এই জয়ে চার ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পেয়ে ১৭তম স্থানে উঠলো বায়ার্ন। সমান পয়েন্ট নিয়ে ১৯ নম্বরে বেনফিকা।
এদিকে বায়ার্নকে এই মৌসুমে প্রথম হারের স্বাদ দেওয়া অ্যাস্টন ভিলার জয়যাত্রা থেমেছে। টানা তিন ম্যাচ জিতে তারা পা রেখেছিল ক্লাব ব্রুগের মাঠে। ৪১ বছরে প্রথমবার ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দুর্দান্ত ফর্মে ছিল ইংলিশ ক্লাব। কিন্তু চতুর্থ ম্যাচে হার দেখলো তারা।
অদ্ভুত পরিস্থিতির শিকার হয়ে ভিলা ১-০ গোলে হারলো। তাদের কিপার এমি মার্টিনেজ গোল কিক নিয়ে ছোট পাস বাড়ান, টাইরন মিংস খেলা শুরু হয়নি ভেবে বল হাতে নিয়ে আর্জেন্টাইন কিপারকে ফেরত পাঠান। ততক্ষণে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়ে দেন।
হ্যান্স ভ্যানাকেন পেনাল্টি থেকে গোল করলে জ্যান ব্রেইডেল স্টেডিয়াম উল্লাসে ফেটে পড়ে। ভিলা হেরে যাওয়ায় এই আসরে শতভাগ সাফল্যের রেকর্ড এখন শুধু লিভারপুলের। ৪ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে উনাই এমেরির দল। ৬ পয়েন্ট পেয়ে ২০তম ক্লাব ব্রুগ।
ভিলার মতো আরেক ইংলিশ ক্লাব আর্সেনাল হার দেখেছে। ২১ বছরে ইন্টার মিলানের সঙ্গে প্রথমবারের দেখায় সুবিধা করতে পারেনি তারা। সব প্রতিযোগিতা মিল শেষ ছয় ম্যাচে তৃতীয়বার হারতে হলো গানারদের।
বুধবারের ম্যাচের আগে তিন ম্যাচ খেলে দুই দলই তাদের গোলপোস্ট অক্ষত রেখেছিল। কিন্তু আর্সেনালের গোলমুখ খুলে গেলো এদিন। হাকান কালহানোগলু তার চমৎকার পেনাল্টি রেকর্ড ধরে রেখে ইতালিয়ান ক্লাবকে জেতালেন।
মেহদি তারেমির ফ্লিক বক্সের মধ্যে মেরিনোর হাতে লাগলে রোমানিয়ান রেফারি ইস্তভান কোভাকস পেনাল্টির বাঁশি বাজান। কালহানোগলু ইন্টারে যোগ দেওয়ার পর সব প্রতিযোগিতা মিলে এনিয়ে ১৯ পেনাল্টি থেকে ১৯তম গোল করলেন।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে গোল হজম করা আর্সেনাল বিরতির পর ১৪ বার গোলের প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়। তাতে করে সরাসরি নকআউট পর্বে ওঠার স্থান শীর্ষ আটের বাইরে গেলো গানাররা। ৭ পয়েন্ট নিয়ে ১২তম তারা। আর ১০ পয়েন্ট পেয়ে পঞ্চম স্থানে ইন্টার।
প্যারিস সেন্ট জার্মেই বিব্রতকর হার দেখেছে একই দিনে। ঘরের মাঠে তারা শেষ মুহূর্তে গোল খেয়েছে। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ জিতেছে ২-১ গোলে। এনিয়ে তিন ম্যাচে দ্বিতীয় হার দেখলো ফরাসি জায়ান্টরা। তাতে করে চার ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে এলিমিনেশন জোনে পিএসজি।
১৪ মিনিটে ওয়ারেন জাইরে-এমেরির গোলে এগিয়ে গিয়েছিল প্যারিস ক্লাব। চার মিনিট পর নাহুয়েল মলিনা সমতা ফেরান। দ্বিতীয়ার্ধে যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে অ্যাঞ্জেল কোরেয়া মাদ্রিদ ক্লাবকে জেতান।
চার ম্যাচে দ্বিতীয় জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ২৩ নম্বরে উঠে গেলো অ্যাটলেটিকো।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন