সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
দেশের সংস্কার প্রসঙ্গে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘দেশে এখন সংস্কারের কাজ চলছে। আমি রাজনীতি নিয়ে ভাবি না। দেশের একটা সংস্কার হওয়া দরকার। তবে এই সংস্কার সর্ব বিষয়ে হওয়া দরকার।
পূর্ববর্তী অবস্থায় দেশ পরিচালনা সিস্টেম একপেশি। যারা ক্ষমতায় তাদের সেবাদাস হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে আমলা, এসপি ও ডিসি। অথচ সংবিধানে প্রজাতন্ত্রে সব কর্মচারীর দায়িত্ব হবে জনগণের সেবা করা। সংস্কার হতে হবে গণ-আলোচনার মাধ্যমে, গণশুনানির মাধ্যমে।
সরকার মুষ্টিমেয় কিছু লোকের সঙ্গে কথা বলছে। আমরা চাই, ব্যাপকভাবে আলোচনা হোক। সংস্কার যদি একপেশি হয় তাহলে টেকসই হবে না।’
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) শহরের মাসদাইর এলাকার মজলুম মিলনায়তনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি।
এদিন তিনি শহরের মাসদাইর এলাকার বেগম রোকেয়া খন্দকার পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি, তৃতীয় প্রজন্মের দ্বারাই সংস্কার হওয়ার দরকার। এই তৃতীয় প্রজন্মই হচ্ছে ছাত্রসমাজ। তারাই দেশ পরিচালনা করেছে। আমি আগেই বলেছি, শেখ হাসিনা যদি ছাত্রদের কম্প্রোমাইজ না করে তাহলে শেখ হাসিনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং ছাত্রদের জয় হবে।
শেখ হাসিনা যেদিন ছাত্রদের রাজাকার বলছে তখন থেকেই এই আন্দোলন সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। শেখ হাসিনার পতনের অন্যতম কারণ মন্ত্রীদের অসংলগ্ন কথাবার্তা। এ দেশের জনগণকে সরকার প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলেছিল। প্রত্যেক জেলায় এমপি বানানো হয়েছে। তারা সবগুলো লুটেরা ছিলেন।’
তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুণগত মানের উন্নয়ন হওয়ার দরকার। আমাদের দেশের চিরাচরিত নিয়ম, সেই নিয়মে রাজনীতি প্রতিহিংসামূলক না হয়ে সেখানে গুণগত অবস্থান সৃষ্টি হওয়া দরকার। যাতে এই দেশের মানুষ প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে নিরাপদ মনে করে। এই দেশের প্রতিটি মানুষ প্রতিটি মানুষের কাছ থেকে নিরাপদ থাকে। যে অপরাধ করবে তার শাস্তি হবে কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতা সম্পূর্ণভাবে থাকতে হবে। সেখানে অনেক ব্যাঘাত ঘটেছে। বিশেষ করে শেখ হাসিনার সরকারের আমলে মানুষের কণ্ঠ রোধ করা হয়েছে। গায়েবি মোকদ্দমা দিয়ে মানুষকে শেখ হাসিনার প্রতিপক্ষ বানিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো সঠিকভাবে রাজনীতি করতে পারে নাই। গায়েবি মামলাকে শেখ হাসিনার সরকার নির্যাতনের এবং প্রতিপক্ষকে হয়রানির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে।’
সূত্র: কালের কণ্ঠ