বুধবার , ৯ অক্টোবর ২০২৪ | ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

মধ্যপ্রাচ্যে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানে চীনা তৎপরতার নেপথ্যে

Paris
অক্টোবর ৯, ২০২৪ ৮:২০ অপরাহ্ণ
মধ্যপ্রাচ্যে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানে চীনা তৎপরতার নেপথ্যে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

ইসরাইল-ফিলিস্তিন সমস্যা দীর্ঘদিনের পুরনো ইস্যু। বলা চলে, শুরু থেকেই এই সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রেখে আসছে চীন। আর বেইজিংয়ের সেই ভূমিকা অনেকটা ফিলিস্তিনিদের পক্ষেই গেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নানা কারণে উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য। যার অন্যতম প্রধান কারণ হলো ইসরাইল-ফিলিস্তিন ইস্যু। ইদানিং মধ্যপ্রাচ্যের সংকট দূরীকরণে বেইজিংয়ের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। অনেকে বলছেন, চীন তার নিজের স্বার্থেই তৎপরতা দেখাচ্ছে। আবার কেউ কেউ বলছেন, মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে চীনের যে উদ্যোগ; সেটা পশ্চিমাদের চেয়ে বেটার (অপেক্ষাকৃত ভাল)। আসলেই বিষয়টা কি তাই? অথবা প্রকৃত রহস্যই বা কী?

সম্প্রতি বেইজিং ‘চায়না-আরব স্টেটস কো-অপারেশন ফোরাম’ তথা চীন ও আরব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যকার সহযোগিতামূলক ফোরামের আওতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনের আয়োজন করে। যেখানে ফিলিস্তিনের বিষয়ে একটি ‘কার্যকর আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন’ আয়োজন এবং পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়।

তার আগে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গাজায় অতিরিক্ত ৬৯ মিলিয়ন ডলারের মানবিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেইসঙ্গে এও বলেছেন, ওই অঞ্চলে চলমান বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আরব দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করতে বদ্ধপরিকর তিনি।

সম্মেলনে শি জিনপিং তার মূল বক্তব্যে বলেন, গত অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিন-ইসরাইলি সংঘাত মারাত্মকভাবে বেড়েছে, যা জনগণকে চরম দুর্ভোগের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া উচিত নয়। ন্যায়বিচারের অনুপস্থিতি চিরকাল থাকতে পারে না।

অবশ্য, দ্বি-রাষ্ট্রিক সমাধানে চীনের সমর্থন নতুন কোনো বিষয় নয়। ১৯৭০ এর দশক থেকে চীন ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্রের সংগ্রামকে সমর্থন করে আসছে। এমনকি দেশটির প্রয়াত চেয়ারম্যান মাও সেতুং ইসরাইলকে সাম্রাজ্যবাদের ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

গাজায় ইসরাইলের সর্বশেষ আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের বিষয়ে চীনা প্রচেষ্টার গতি ত্বরান্বিত হয়েছে। কারণ বেইজিংয়ের আশঙ্কা, একটি বৃহত্তর যুদ্ধ শুরু হলে অত্র অঞ্চলকে গ্রাস করতে পারে। সুতরাং স্থায়ী শান্তির জন্য সংঘাতের মূল কারণগুলি নিয়ে কাজ করাকে অপরিহার্য বলে মনে করে চীন।

বেইজিং মধ্যপ্রাচ্যে তার শান্তিকামী নীতিকে প্রসারিত করার ব্যাপারেও আগ্রহী। আর চীন সেটা এমন এক সময়ে করতে তৎপর যখন অঞ্চলটিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।

এর একটি উদাহরণ হলো- সম্প্রতি চীন ফিলিস্তিনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপ হামাস এবং ফাতাহর মধ্যে বেইজিংয়ে এক আলোচনার আয়োজন করে। সেই সঙ্গে আরব রাষ্ট্রগুলির সাথে একটি যৌথ বিবৃতি জারি করেছে চীন, যেখানে ফিলিস্তিনি সমস্যার একটি বিস্তৃত, স্থায়ী এবং দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানানো হয়েছে।

এছাড়া তেল, গ্যাস এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে আরব বিশ্বের সঙ্গে চীনের অর্থনৈতিক সহযোগিতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

টিআরটি ওয়াল্ডের এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, মোটা দাগে দুটি কারণে চীন ইসরাইল-ফিলিস্তিন দ্বি-রাষ্ট্রিক সমাধানের পক্ষে। প্রথমটি কূটনৈতিক সাফল্য অর্জন এবং দ্বিতীয়টি হলো অর্থনৈতিক স্বার্থ হাসিল। বেইজিং ভালো করেই জানে, ইসরাইল-ফিলিস্তিন দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র ছাড়া দীর্ঘ বছর ধরে চলা মধ্যপ্রাচ্যের এই সংকটের স্থায়ী সমাধান সম্ভব না। আর সংঘাত জিইয়ে রেখে বেইজিং তার প্রত্যাশিত সাফল্য অর্জন করতে পারবে না।

বেইজিং তার কূটনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে মধ্যপ্রাচ্যে একটি কার্যকর মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে আগ্রহী, আর এ কারণেই দ্বি-রাষ্ট্রিক সমাধানের ফলাফলকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখে চীন। গত বছর ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি সম্পাদনের ক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করার মাধ্যমে চীন কূটনৈতিক বিজয় অর্জন করেছে।

তবে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা জোরদার করার ক্ষেত্রে বেইজিং যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, এখনও তার কাঙ্খিত ফলাফল ঘরে তুলতে পারেনি। যেমন- গত বছরের মার্চে একটি ত্রিপক্ষীয় বিবৃতিতে সৌদি আরব, চীন এবং ইরানের সিনিয়র কর্মকর্তারা যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেটা এখনও পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।

তবে চীন যদি কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে ইসরাইল-ফিলিস্তিন ইস্যুর মীমাংসা করতে সক্ষম হয়, তাহলে পুরো পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে। কারণ ফিলিস্তিনে ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসন ও দখলদারিত্বকে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘদিনের একটি জটিল সমস্যা হিসেবে দেখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে গাজায় ইসরাইলি হামলায় যে রক্তগঙ্গা বয়ে যাচ্ছে, তাতে সমর্থন করার কারণে যুক্তরাষ্ট্র আগের তুলনায় আরও বেশি আরব দেশগুলোর সমালোচনার মুখে পড়েছে।

চীন আশা করছে, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের যে ব্যর্থতা, সেই শূন্যতা পূরণ করতে পারবে তারা। এক্ষেত্রে ফিলিস্তিনি স্বার্থ তথা দুই-রাষ্ট্র সমাধানকে আলোচনার কেন্দ্রে রাখবে বেইজিং। সম্প্রতি ফিলিস্তিনিদের জাতীয় অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুযায়ী একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে চীনের সোচ্চার সমর্থন সেটাই প্রমাণ করে।

একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ প্রাপ্তির বিষয়ে বেইজিংয়ের সমর্থন ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা আরব রাষ্ট্রগুলোর মতামতের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে মিলে যায়। এখন আরব রাষ্ট্রগুলো যদি ফিলিস্তিনের বিষয়ে চীন-সমর্থিত আন্তর্জাতিক শান্তি প্রচেষ্টার পেছনে শক্ত ভূমিকা রাখতে পারে, তাহলে বেইজিং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিষয়ে আঞ্চলিক ঐকমত্যকে আরও শক্তিশালী করতে পারে, যা মার্কিন সরকারের সমর্থনের উপর নির্ভরশীল নয়।

ফিলিস্তিন ইস্যুতে চীনের সম্পৃক্ততা নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। যেমন- আরব রাষ্ট্রগুলো দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের চীনা অবস্থানকে অপ্রতিরোধ্যভাবে সমর্থন করছে, এমনকি ইসরাইলি দখলদারিত্বের অবসানের আহ্বানকে সমর্থন করেছে আরব বিশ্ব। জাতিসংঘে চীনের অবস্থানকে সমর্থন করেছে রাশিয়াও। কিন্তু ওয়াশিংটন এবং অনেক পশ্চিমা শক্তি গাজা ইস্যুতে চীন যাতে সরাসরি সম্পৃক্ত হতে না পারে, সে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

অপরদিকে, গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা প্রকল্পের পেছনে চীনের ইকোনোমিক এবং ডেভেলপমেন্ট তথা অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন স্বার্থ নিহিত রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, চীন মধ্যপ্রাচ্যে তার বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ তথা বিআরআই প্রকল্প সম্প্রসারণ নিয়ে কাজ করছে। বিআরআই একটি বিস্তৃত অবকাঠামো এবং বাণিজ্য সংযোগ প্রকল্প- যার সঙ্গে কৌশলগত জলপথের বেশ কয়েকটি বন্দর সংযুক্ত রয়েছে।

গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্যিক করিডোরগুলোর নিরাপত্তাহীনতা প্রকাশ করে দিয়েছে। এর ফলে বিআরআই প্রকল্পের অধীনে বিভিন্ন পোর্ট, এনার্জি এবং ট্রানজিট অবকাঠামোতে যে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ তাকে ব্যাহত করার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এমনকি ইতিমধ্যেই সামুদ্রিক প্রবেশদ্বারগুলোতে শিপিং খরচ বেড়ে গেছে।

বর্ধিত এই খরচের পরিপ্রেক্ষিতে চীন ও আরব দেশগুলো দ্বি-রাষ্ট্রিক সমাধানকে সমর্থন করার এক কঠিন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে। কিন্তু তারপরও, ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরাইলি বসতি বৃদ্ধি এবং আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে ন্যায়সঙ্গত শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের সম্ভাবনা এখনও অনেক দূরে।

সম্প্রতি উভয় পক্ষ বিনিয়োগ, অবকাঠামো এবং জ্বালানির মতো খাতে উন্নয়নমূলক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি কর্মপরিকল্পনার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছে।

বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে আরব রাষ্ট্রগুলোর শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে বেইজিং। ২০২৩ সালে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ বেড়ে প্রায় ৪০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। স্বাভাবিক কারণেই ভবিষ্যত সংঘাতের বিস্তার এবং বৃহত্তর আঞ্চলিক যুদ্ধের ঝুঁকি এড়ানোর জন্য ইসরাইল-ফিলিস্তিন সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তবে দ্বি-রাষ্ট্রিক সমাধানের জন্য বেইজিংয়ের সমর্থন সত্ত্বেও এক্ষেত্রে দেশটির প্রভাবের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কারণ প্রথমত, গাজা যুদ্ধ নিয়ে যেকোনো ধরনের বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে আরব রাষ্ট্রগুলো ওয়াশিংটনের সংশ্লিষ্টতা থেকে পুরোপুরি সরে আসবে না। দ্বিতীয়ত, যেকোনো ধরনের ডি-স্কেলেশন বা শান্তি প্রতিষ্ঠা প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে ইসরাইলের স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দিবে যুক্তরাষ্ট্র।

এক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তিন-ধাপের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় দৃষ্টি দেয়া যেতে পারে। সেখানে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রক্রিয়া নিয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে, কিন্তু ইসরাইলকে বাস্তবে সেই প্রস্তাব মানানোর ব্যাপারে কার্যত কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। ফলে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিষয়ে চীন যে মনোযোগের কেন্দ্রে আবির্ভূত হওয়ার চেষ্টা করছে, সেখানে একটি অনন্য চ্যালেঞ্জ হলো ইসরাইলের প্রতি ওয়াশিংটনের জোরালো সমর্থন।

তাছাড়া দ্বি-রাষ্ট্রিক সমাধানের সম্ভাব্যতাও প্রশ্নবিদ্ধ। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের কট্টর বিরোধী। আবার ইসরাইলি দখলদারিত্ব সম্পূর্ণ অবসানের কোনো প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের প্রচেষ্টা খুবই সামান্য। একইসঙ্গে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরাইলের অবৈধ বসতি স্থাপন প্রতিনিয়ত দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। যা দুই-রাষ্ট্র সমাধানের বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

আবার ইসরাইলের আগ্রাসন সত্ত্বেও এটি স্পষ্ট যে, ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও স্বাধীনতাকে একেবারে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। স্বাভাবিক কারণেই ফিলিস্তিনিদের ভবিষ্যত সম্পর্কিত সেই আলোচনাকে প্রকাশ্যে আনার ক্ষেত্রে একটি দ্বি-রাষ্ট্রিক সমাধানের আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ।

নিরাপত্তা ফ্রন্টের দিক থেকেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরব দেশগুলোর উপর গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা ভোগ করে আসছে। এপ্রিলে ওয়াশিংটন সৌদি আরবে একটি উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠকের আয়োজন করে। সেখানে সৌদি আরব, ব্রিটেন ও কাতারের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে গাজায় যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে বিস্তর আলোচনা হয়।

গাজায় যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের গাইডলাইনকে সমর্থন করছে কাতার ও মিশর। অথচ একই সময়ে ইসরাইলের প্রতি দৃঢ় সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এই যখন অবস্থা তখন মধ্যপ্রাচ্যে দ্বি-রাষ্ট্রিক সমস্যা সমাধানের প্রতিযোগী হিসেবে চীনের যে প্রত্যাশা, সেখানে ভারসাম্য বজায় রাখাটা কঠিনই হবে বটে।

সুতরাং বলা যেতে পারে, মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলমান সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধানের জন্য বেইজিংয়ের যে সাধনা- সেটা তার নিজের, ফিলিস্তিন এবং বৃহত্তর দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে গোটা অঞ্চলের জন্যই লাভজনক। কারণ একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের মাধ্যমে চীন যেমন দীর্ঘমেয়াদে তার অর্থনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষা করতে চায়, তেমনি তার ‘পিস-বিল্ডিং ইনফ্লুয়েন্স’ তথা শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রভাব প্রসারিত করাও অন্যতম লক্ষ্য।

 

সূত্র: যুগান্তর

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক