বুধবার , ২ অক্টোবর ২০২৪ | ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

খাগড়াছড়ির পরিস্থিতি নিয়ে যা জানা যাচ্ছে

Paris
অক্টোবর ২, ২০২৪ ১০:২৫ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের অভিযোগে এক স্কুল শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার পরদিন দুপুর পর্যন্ত বহাল ছিল ১৪৪ ধারা। ধীরে ধীরে শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বেলা তিনটায় ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়।

তবে, উপজেলাগুলোতে এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাস্তাঘাটে মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুলিশ।

এরই মধ্যে মঙ্গলবারের পিটিয়ে হত্যার ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ধর্ষণের অভিযোগে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবার একটি মামলা করেছে। এছাড়া সরকারি কাজে বাধাদান, ভাঙচুরের ঘটনায় হয়েছে আরো একটি মামলা।

খাগড়াছড়িতে বুধবার যে চিত্র ছিল
সকাল থেকে খাগড়াছড়ি শহরের রাস্তাগুলোতে যানবাহন চলাচল কম ছিল। দূরপাল্লার যান চলাচল একেবারেই সীমিত ছিল।

নিরাপত্তার জন্য শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, শহরে মানুষের জীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। পাহাড়ি-বাঙালিরা অফিস-আদালত যাচ্ছেন। হাটবাজারেও মানুষের সমাগম বাড়ছে।

যদিও জেলার অন্যান্য উপজেলাগুলোতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে জানা যাচ্ছে। সেখানকার সড়কগুলোতে নেই যানবাহন।

বিকেলেও মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা শুরু হয়নি। জনমনে এখনো উদ্বেগ বিরাজ করছে বলে জানান স্থানীয় সাংবাদিকরা।

এদিকে, সকালে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এবং সদর থানার পুলিশ কর্মকর্তারা শহরের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।

যেসব এলাকায় মঙ্গলবার ভাঙচুর, জ্বালাও পোড়াও হয়েছে সেসব এলাকার পরিস্থিতিও তারা পর্যবেক্ষণ করেন।

সংঘর্ষের জেরে পাংখেয়াপাড়া ও মহাজন পাড়ায় মঙ্গলবার যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর এবং দোকান লুটপাট করে আগুন দেয়া হয়েছে সেসব স্থানেও গিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, ইতোমধ্যেই জেলা প্রশাসন মঙ্গলবার শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে পিটিয়ে মারার ঘটনাসহ সামগ্রিক বিষয় তদন্তে একটি চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রোজলীন শহীদ চৌধুরীকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ কমিটি পাহাড়িুবাঙালি সংঘর্ষ, গণপিটুনিতে হত্যা ও পরবর্তীতে সহিংসতাসহ সব ঘটনা তদন্ত করবে।

মঙ্গলবার পাহাড়িুবাঙালি দফায় দফায় হামলা, সংঘর্ষের ঘটনায় যেসব ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ করবে জেলা প্রশাসন।

খাগড়াছড়িতে এখন পর্যন্ত দু’টো মামলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি ধর্ষণ মামলা, অপরটি সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের উপর বাধাদানের অভিযোগে মামলা।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবার ধর্ষণ মামলা করেছে। তবে, গণপিটুনির ঘটনায় এখনো কাউকে চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় কোনো মামলা এখনো হয়নি।

নিহত শিক্ষক মি. রানার পরিবার খাগড়াছড়িতে পৌঁছালে আরেকটি মামলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফীন জুয়েল।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক রোজলীন শহীদ চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলেন, “আজকের পরিস্থিতি ভালো। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। যার জন্য আমরা ইতোমধ্যে জারিকৃত ১৪৪ ধারা বিকাল তিনটায় প্রত্যাহার করেছি।”

তিনি জানান, মঙ্গলবারের ঘটনার বিস্তারিত বিষয় তুলে আনার জন্য যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তাদের আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

খাগড়াছড়িতে ঠিক কী ঘটেছে মঙ্গলবার?
খাগড়াছড়ি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সিভিল কন্সট্রাকশন অ্যান্ড সেফটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন নিহত আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানা। একইসাথে তিনি বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স বিভাগের ইন্সট্রাক্টরও ছিলেন।

পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে সকাল সাতটায় আসতে বলেছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক। কিন্তু ক্লাশ শুরু হয় নয়টায়। তিনি সেই শিক্ষার্থীকে ডরমিটরিতে নিয়ে যান। সেখানে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা জানান শিক্ষকের ডরমিটরিতে ঢুকেছে সে।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বিবিসি বাংলাকে বলেন, “ওই টিচার তার ডরমিটরিতে ছাত্রীকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটায়। পরে সাড়ে আটটা নয়টার দিকে অন্যান্য ছাত্রীরা বলে যে ওই টিচারের রুমে অমুক ঢুকছে। এটাতে মেইনলি তখন খবর নেয়া হয়। প্রথমে ঢুকে খুঁজে পায় না। পরে থার্ড টাইম আরো ছাত্ররা, টিচার গিয়ে ওই টিচারের রুমে ছাত্রীকে পেয়েছে।”

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার ভাষ্যে এ ঘটনা জানায় বলে জানান এসপি মি. জুয়েল। সরকারি ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা আবাসিক এলাকায় থাকেন বলে জানান তিনি।

প্রথমে প্রধান শিক্ষক ঘটনা মীমাংসা করতে চেষ্টা করেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ছাত্ররা উত্তেজিত হয়ে শিক্ষককে পিটিয়ে মারার ওই ঘটনা ঘটে বলে জানান মি. জুয়েল।

খবর পেয়ে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যায় পুলিশ। আহত অবস্থায় তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন তাকে।

ঘটনার পর পাহাড়িুবাঙালি দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের সদর সার্কেলের এএসপিসহ পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।

মঙ্গলবার দিনভর দফায় দফায় উভয়পক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেলে আগুন, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও আগুন দেয়া হয়। এ সময় সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিভিন্ন কক্ষ ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়।

একপর্যায়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ইতোমধ্যেই তার মেডিকেল টেস্ট করা হয়েছে বলে জানান মি. জুয়েল।

মি. জুয়েল বলেন, “সঙ্গে সঙ্গেই তাকে আমরা মেডিকেলে নিয়েছি। তার মেডিকেল টেস্ট করা হয়েছে। যে সকল স্যাম্পল কালেকশন করার কথা সেগুলা করা হয়েছে।”

ধর্ষণের অভিযোগে যে মামলাটি ভুক্তভোগীর পরিবার করেছে তাতে নিহত ব্যক্তিকেই আসামি করার কারণ হিসেবে মি. জুয়েল বলেন, “নিহত ব্যক্তির নামেই মামলা হয়েছে। নিহত হলেও কিছু আইনগত বিষয় আছে যেগুলোর ফয়সালা প্রয়োজন।”

শিক্ষার্থীদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ থাকায় নিহত শিক্ষক সোহেল রানাকে প্রত্যাহারে বেশ কিছুদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছিলো পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা। এ দাবিতে বিভিন্ন সময় তারা মিছিল, সমাবেশও করেছে।

সবশেষ মঙ্গলবার গণপিটুনিতে নিহত হন মি. রানা।

সোহেল রানার বিরুদ্ধে ছিল আরো অভিযোগ
নিহত সোহেল রানার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও ধর্ষণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল।

২০২১ সালে ধর্ষণের অভিযোগে এক পাহাড়ি শিক্ষার্থী মামলা করেন। ওই মামলায় খালাস পেয়ে আবার চাকরিতে যোগ দেন তিনি।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আবদুল বাতেন বিবিসি বাংলাকে বলেন, “কয়েক বছর আগে ধর্ষণের মামলা ছিল তার বিরুদ্ধে। পরে খালাস পান তিনি।”

২০১৮ সালে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর হোসেনাবাদ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে থাকার সময়েও তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছিল। এরপর তাকে খাগড়াছড়িতে বদলি করা হয়।

পাহাড়িুবাঙালি সম্পর্কের কী অবস্থা ?
গত ১৮ই সেপ্টেম্বর ভোরে চোর সন্দেহে খাগড়াছড়িতে মামুন নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে পার্বত্য চট্টগ্রামের দুই জেলা খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।

ফলে বিভিন্ন সময় পাহাড়ি-বাঙালি সম্পর্ক বেশ নাজুক হতে দেখা গেছে।

এর মধ্যে, মঙ্গলবার রাতেই শহরের বিভিন্ন এলাকার মসজিদ থেকে মাইকিং করে পাহাড়ি-বাঙালি সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখার আহ্বান জানানো হয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহাবস্থান বজায় রাখতে শহরের মসজিদগুলো থেকে আহ্বান জানানো হয়।

তবে, সদরের বাইরের প্রত্যন্ত এলাকায় মানুষের মধ্যে ভয় ও উদ্বেগ রয়েছে।

পাহাড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে বিভিন্ন বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা ও বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের নেতারা চক্রান্ত করছে বলে দাবি করেন জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভুঁইয়া।

মি. ভুঁইয়া বিবিসি বাংলাকে বলেন, “বিভিন্ন মহল কিছু ইন্টারেস্টের জন্য পাহাড়কে উত্ত্যক্ত করছে। বর্তমান সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করার চেষ্টা চলছে। বর্তমান সরকার পাহাড়িদের জন্য ভালো না, তাদের জানমালের নিরাপত্তা দিচ্ছে না এটা প্রমাণ করার বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে। আওয়ামী লীগসহ বিদেশি সংস্থাগুলো এ কাজ করছে।”

তবে, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সংগঠক মাইকেল চাকমা অবশ্য মনে করছেন, পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে দীর্ঘদিনের যে অবিশ্বাসের বীজ পোঁতা রয়েছে এখনো সেটির কোনো পরিবর্তন হয়নি।

অতীতের উদাহরণ টেনে মি. চাকমা বলেন, “এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে একটা পক্ষ সব সময় সুযোগটা নেয়। একটা সাম্প্রদায়িক সহিংসতার রূপ দেয়। থাইনডঙ্গ, লংগদু, খাগড়াছড়িসহ বিভিন্ন ঘটনার ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি একটা গুজবকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, হামলা, আক্রমণ হয়।”

কখনো ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি পেতে হয়নি বলে ক্ষোভ জানান মি. চাকমা।

“আক্রমণের পর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা বলে ঘটনাকে স্বাভাবিক করে ফেলা হয়। সবচেয়ে লক্ষণীয় ব্যাপার হলো এসব ঘটনা যারা ঘটায় আজ পর্যন্ত এদের মধ্যে কাউকে শাস্তি পেতে হয়নি। এটা অনেক উদ্বেগের বিষয়। এ কারণে ওখানকার প্রত্যেকটা বিষয়কে যদি সাম্প্রদায়িকতার রূপ দেয়া যায় এবং বারবার তারা সাহস পাচ্ছে। এর শিকারটা হচ্ছে পাহাড়িরা,” বলেন মি. চাকমা।

মঙ্গলবার শিক্ষককে পিটিয়ে মেরে ফেলার ঘটনাকে দুঃখজনক বললেও মি. চাকমার দাবি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগে থেকেই শিক্ষার্থীদের সাথে অনৈতিক আচরণের অভিযোগ ছিল। ফলে শিক্ষার্থীদের আগেই দাবি ছিল যাতে তাকে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বহাল না করা হয়।

কিন্তু প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের দাবির তোয়াক্কা করেনি। নিহত শিক্ষক জেল খেটে আসার পরও কর্তৃপক্ষ তাকে প্রতিষ্ঠানে বহাল করে বলে দাবি করেন মি. চাকমা। কলেজ প্রশাসন ওই শিক্ষককে রক্ষার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি বিগড়ে যায়।

পাহাড়িুবাঙালি সম্পর্ককে সবসময়ই রাজনীতিকীকরণ করা হয়েছে বলে মনে করেন মি. চাকমা। কারণ এটা অনেক পুরোনো সমস্যা।

“সরকার যদি বড় ধরনের একটা উদ্যোগ গ্রহণ না করে তবে সমস্যা এতো সহজভাবে সমাধান করা যাবে না। অবিশ্বাস অনেক গভীরে চলে গেছে। এটা রাষ্ট্র নিজে তৈরি করেছে। পাহাড়ি আর বাঙালিদের মধ্যে কৃত্রিম দ্বন্দ্ব লাগিয়ে দিয়ে একটা ডিভাইডেড রুল হিসেবে, শাসনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে,” যোগ করেন মি. চাকমা।

 

সূত্র: বিবিসি বাংলা

সর্বশেষ - জাতীয়