সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
জাপানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, তাইওয়ান প্রণালিতে টহল দেওয়ার জন্য একটি যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে ওই এলাকা নিজেদের বলে দাবি করে চীন। জাপানের দুটি দ্বীপের কাছে চীন বিমানবাহী রণতরি পাঠানোর পরই জাপান তাইওয়ান প্রণালিতে যুদ্ধজাহাজ পাঠাল।
জাপানের সংবাদপত্র ইয়োমিউরি শিমবুন সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, টোকিও আসলে চীনকে স্পষ্ট বার্তা দিতে চাইছে।
সে জন্যই এই প্রথমবার তাইওয়ানের প্রণালিতে একটি যুদ্ধজাহাজ পাঠাল জাপান।
একই দিনে চীন জানিয়েছিল, তারা প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে।
বুধবার সকালে জাপানের যুদ্ধজাহাজ পূর্ব চীন সাগর থেকে যাত্রা শুরু করে। ১০ ঘণ্টা পরে তা গন্তব্যে পৌঁছয় বলে জাপানের সংবাদপত্র জানিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, জাপানের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের নৌবাহিনীর জাহাজও ছিল।
গত সপ্তাহে প্রথমবার চীনের বিমানবাহী রণতরি তাইওয়ানের কাছে জাপানের দুটি দ্বীপের পাশে চলে যায়। তার সঙ্গে ছিল দুটি ডেস্ট্রয়ার। সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এই যুদ্ধজাহাজকে তাইওয়ান প্রণালিতে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
কারণ তার মতে, জাপানের এলাকায় চীন অনুপ্রবেশ করেছে। তার কোনো জবাব না দিলে চীন আরো আগ্রাসী মনোভাব দেখাবে।
তবে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর বিষয় নিয়ে কিছু জানায়নি।
চীনের আঞ্চলিক আধিপত্যের প্রয়াস
এদিকে চীন বারবার দাবি করেছে, তারা তাইওয়ানকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে চায়। চীনের নেতা শি চিনপিং বারবার চীনের একীকরণের কথা বলছেন।
বেইজিং মনে করে, তাইওয়ান চীনের অংশ। তারা দাবি করে, এই প্রণালির পানির ওপরও তাদের অধিকার রয়েছে।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশেরই মত হলো, তাইওয়ান প্রণালিতে টহল দেওয়াটা সাধারণ ঘটনা। পানিপথ ব্যবহারের স্বাধীনতা সব দেশের আছে।
সূত্র: কালের কণ্ঠ