রবিবার , ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২১শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

চুরি করা অটোরিকশার ব্যাটারী বিক্রি করতে এসে ফেঁসে গেলো ওরা!

Paris
সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪ ১:৪২ পূর্বাহ্ণ

মান্দা প্রতিনিধি :

নওগাঁর মান্দায় চোরাই অটোরিকশার মালামাল উদ্ধারসহ তিনজনকে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মান্দা উপজেলার সতীহাট ও বর্দ্দপুর থেকে তাদের আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা। এ সময় একাধিক চোরাই অটোরিকশার মালামাল ও ৪টি ব্যাটারী উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে সতীহাট বাসস্ট্যান্ড গ্রামীণ ব্যাংক রোড থেকে শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত তজিম উদ্দিন প্রাং এর ছেলে ভ্যানচালক আবুল হেসেনের একটি চার্জার ভ্যান এবং সতীহাট ধানহাটি থেকে অপর আরেকজন ভ্যানচালকের একটি চার্জার ভ্যান চুরি হয়ে যায়। এসব ঘটনায় চুরি হয়ে যাওয়া একটি চার্জার ভ্যানের মিটার উদ্ধার করা হয়। অপরদিকে, গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সতীহাট কেন্দ্রেীয় জামে মসজিদে জোহরের নামাজ আদায় যান মদিনা আতর হাউজের মালিক আরমান হোসেন। এসময় দোকানের ক্যাশবাক্স ভেঙ্গে প্রায় লক্ষাধিক টাকা চুরি করে নিয়ে যায় চোর চক্রের সদস্যরা।

চোরাই অটোরিকশার মালামাল উদ্ধারের ঘটনায় আটককৃতরা হলেন,নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভালাইন ইউনিয়নের বৈলশিং- চকবাবন গ্রামের একরামুল হকের স্ত্রী লতা (৩০), মৈনম ইউনিয়নের বর্দ্দপুর গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম রাফী (১৯) এবং একই গ্রামের জাইদুল ইসলামের ছেলে রিমন (১৫)। তবে কৌশলে এই চক্রের মূল হোতা একরামুল পালিয়ে যায়। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা ও অটো চার্জার ভ্যান চুরি করে আসছিলেন ।

জানাগেছে, শুক্রবার বিকেলে উপজেলার সতীহাটে রায়হান সাইকেল স্টোরে চোরাই অটোরিকশার ব্যাটারী বিক্রি করতে আসেন রবিউল ইসলাম রাফী এবং রিমন। এসময় চোর সন্দেহে তাদের ২ জনকে আটক করে স্থানীয়রা। জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে যে, অটোরিকশাটি নওগাঁর ইদুর বটতলীর একটি গ্যারেজ থেকে দিনচুক্তিতে ভাড়া নেয় একরামুল। এরপর সে অটোরিকশাটিতে করে তিনি ও তার স্ত্রী লতা মৈনম ইউনিয়নের বর্দ্দপুর গ্রামের নিকটাত্মীয় জহুরুল ইসলামের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরবর্তীতে একরামুল এবং রবিউল ইসলাম রাফী অটোরিকশাটি পুরোটা খন্ড খন্ড করে খুলে ফেলেন।

এরপর অটোরিকশার মালামাল ও ব্যাটারীগুলোর মধ্যে ৩টি ব্যাটারী বাড়ির পাশে একটি পুকুরে পানির নিচে ডুবিয়ে রাখেন এবং একটি ব্যাটারী সতীহাটে রায়হান সাইকেল স্টোরে বিক্রি করতে আসেন। রাফীর দাবি যে, একরামুল তাকে রায়হান সাইকেল স্টোরের একটি ভিজিটিং কার্ড দিয়ে সেখানে বিক্রয়ের জন্য নিয়ে যেতে বলেন। এসময় সে এবং তার এক বন্ধু রিমন মোটরসাইকেল যোগে ব্যাটারীটি বিক্রয়ের জন্য নিয়ে আসেন। এরপর সেখানে এসে আটক হন তারা। সংবাদ পেয়ে উদ্ধারকৃত অটোরিকশার মালামাল ও ৪টি ব্যাটারীসহ আটককৃতদের হেফাজতে নেওয়া হয়।

মান্দা থানার ওসি- তদন্ত আব্দুল গনি বলেন, উদ্ধারকৃত অটোরিকশাটি নওগাঁ সদরের হওয়ার কারণে বিষয়টি উর্দ্ধত্মন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। এরপর তাদের পরামর্শক্রমে নওগাঁ সদর থানা পুলিশের হাতে তাদের ৩ জনকে তুলে দেয়া হয়।

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর