সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
বোরেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে জিজ্ঞাসা করার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছি…যদি তারা উপযুক্ত মনে করেন, তবে আমাদের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় কিছু ইসরায়েলি মন্ত্রীকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য, যারা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অগ্রহণযোগ্য ঘৃণার বার্তা প্রচার করছেন।’
ব্রাসেলসে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের শুরুতে বক্তব্য দিতে গিয়ে বোরেল বলেন, চিহ্নিত করা ব্যক্তিরা এমন বিবৃতি দিয়েছেন, যা ‘স্পষ্টভাবে আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধের জন্য উসকানিমূলক। আমি মনে করি, ইইউর মানবিক আইনকে সম্মান করার জন্য আমাদের ব্যবস্থা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো ট্যাবু থাকা উচিত নয়।
স্মোট্রিচ ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য গাজার ২০ বাসিন্দাকে না খাইয়ে রাখার যুক্তি ও পরামর্শ দিয়ে আন্তর্জাতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছেন। একই সঙ্গে বেন গভির উসকানিমূলক কর্ম ও মন্তব্যের ধারাবাহিকতার জন্য সমালোচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া হাঙ্গেরি, অস্ট্রিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রও ইইউ দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে, যারা ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে এবং ইসরায়েলি সরকারকে লক্ষ্য করে কঠোর পদক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে।
পাশাপাশি জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক ইতিমধ্যে এই প্রস্তাবে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, ইতিমধ্যে সহিংস ইহুদি বসতকারীদের বিরুদ্ধে ইইউর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রয়েছে এবং যেকোনো অতিরিক্ত পদক্ষেপের জন্য সর্বসম্মত সমর্থন প্রয়োজন। ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞাগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্লকে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা এবং ইইউতে রাখা সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা।
সূত্র: কালের কণ্ঠ