সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ
কলা স্বাস্থ্যকর এক ফল। ডায়েটারি ফাইবার ও শর্করাসমৃদ্ধ এই ফল ভিটামিন বি ৬ এর একটি দুর্দান্ত উৎস। এই ফলে আরও থাকে ভিটামিন বি, সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন ও ম্যাঙ্গানিজ। ছোট-বড় সবাই এই ফল খেতে পছন্দ করেন।
তবে অনেকেরই হয়তো অজানা, কলাপ্রেমীদের জন্য আছে এক দিবস। প্রতিবছর ২৭ আগস্ট সকল কলাপ্রেমীদের জন্য ছুটির দিন যুক্তরাষ্ট্রে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল এমনকি ও বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ফল হলো কলা। আর কলাপ্রেমীদের জন্যই পালিত হয় ‘ন্যাশনাল বানানা লাভার্স ডে’। এদিন মার্কিনরা কলা দিয়ে বিভিন্ন পদ তৈরি করেন, যার মধ্যে ডেজার্ট আইটেমই বেশি থাকে।
বিশেষ করে- কলা রুটি, কলার পুডিং, কলা স্প্লিট, কলা ক্রিম পাই, কলা মাফিন, ব্যানানাস ফস্টার, প্লান্টেন স্যুপ এদিন কমবেশি সবাই পাতে রাখেন। এর পাশাপাশি কলার চিপস একটি জনপ্রিয় স্ন্যাক ফুড সে দেশে।
কলার যত উপকারিতা
>> কলায় থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
>> কলায় প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে। বিজ্ঞানীদের মতে, ২৫ গ্রাম মতো ফাইবার খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
>> নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ থাকে কলা। তাই প্রতিদিন কলা খেলে হার্ট যেমন ভালো থাকে, তেমনই ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।
>> কলায় থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই নিয়মিত কলা খেলে বিভিন্ন অসুখের ঝুঁকি কমবে। পাশাপাশি শরীরের প্রতিদিনের ভিটামিন সি’র চাহিদাও পূরণ হবে।
>> আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, অতিরিক্ত ওজন বা ডায়াবেটিসের সমস্যা না থাকলে প্রতিদিন কলা খাওয়া ভালো। কারণ কলার দাম বেশি নয়। কম খরচে এক ফলেই এতো ধরনের পুষ্টি হয়তো অন্য খাবারে মেলে না।
>> যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে তাদের পাকা কলা খাওয়া উচিত। এতে ফাইবার থাকায় পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। আবার পেট খারাপ হলে কাঁচকলা খেলে উপকার পাবেন।
কখন কলা খাবেন?
ভারি খাবারের সঙ্গে কলা খাবেন না। খাবার খাওয়ার এক থেকে দেড় ঘণ্টা পরে কলা খাবেন। কারণ কলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এ সময়ের ব্যবধানে খেলে ফাইবার সহজেই শরীর গ্রহণ করতে পারবে।
সূত্রঃ জাগো নিউজ